Poetry in Bengali
|
চানক্য বাড়ৈ আষাঢ়ের পঙক্তিমালাশেষ বিকেলের রোদ নিস্তরঙ্গ হলে তুমি বিছানায় যাও এবং আর সবাকার মত তোমারও রয়েছে এক নিজস্ব চিল, যাকে আকাশে ওড়াতে তোমার সামান্য সময় নিতে হয়।নদীতে ভাসমান নৌকো পুরোটা দেখা যাচ্ছিলনা বলে কিছুটা কৌতূহলী হয়ে দেখলে বাড়ির পেছনের রাধাচূড়া গাছটি কবে যেন বড় হয়ে গেছে—গত আষাঢ়ে যার চারা লাগাতে গিয়ে কালিদাস আওড়াচ্ছিলে। আর সেদিন বিশুদ্ধ বর্ষায় ভেজা তোমার কুমারী শরীর দেখে যে কাঠবিড়ালীটি সঙ্গমলিপ্সু হয়েছিল তাকে আজ মতিদের বিড়ালে খেয়েছে। আর আজই মলিন গোধূলির প্রাক্কালে যে চিলটি ওড়ালে, সেও বিরুদ্ধ বাতাস কেটে কেটে একদিন ঠিকই মেঘেদের কাছে পৌঁছোবে। আর জ্যৈষ্ঠের মরা চাঁদ পুনরায় রজঃস্বলা হলে তোমার হাতে পৌঁছে দেবে একটি হাতচিঠি। অথচ লাটাইয়ের প্রতি তোমার সীমাহীন বৈরাগ্য দেখে অবাক হতে হয়। আসছে আষাঢ়ে তুমি কোন ছুতোয় বৃষ্টিতে ভিজবে ! সুদীর্ঘ শীতরাত্রিতারপর, সুদীর্ঘ শীতরাত্রি এলে প্রাচীন মন্দির থেকে উড়ে আসে ঘণ্টার আওয়াজ। আমরা যারা নবীন শিকারী, পাললিক বাতাসে চড়ে আসা এই সব শব্দ শুনে ভাবি একঝাঁক ধাবমান চিতা।তারও অনেক পরে, যখন ঠাণ্ডা মুখের মত একখণ্ড চাঁদ নিঃশব্দতার পুকুরে নিঃসঙ্গ সাঁতার কাটতে শুরু করে তখন কোন এক শিকারসঙ্গীর ঠোঁটে জ্বলে ওঠে আগুন এবং গোল্ডলিফ ধোঁয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে নিতে আমরাও বুনতে শুরু করি গল্পের চারা। আজ, এইখানে যে হরিণীটি বধ হবে, শুনেছি পূর্বজন্মেও সে মরেছিল একই নিয়মে। অথচ তারও ছিল কিছু স্বপ্ন—প্রেম—ছিল রিরংসা... আমাদের অজস্র আষাঢ়ে গল্প সেইসব হরিণীদের উদ্দেশ্যে উড়ে যেতে থাকে! |