Bengali Book Reviewরহমান হেনরী, শ্রেষ্ঠ কবিতা, নদী, ঢাকা, ২০০৮; পৃষ্ঠা: ১৭০, মূল্য: ১৮০ টাকাBack to Issue 49_50 Back to Front Page |
রেজা নুর রহমান হেনরী’র ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’: দূর্লক্ষ্য দূরালোককবিতা অনেক রকম। অনায়াস-বোধ্য কিংবা আয়াস-রুদ্ধ; চলার মধ্যে তফাৎ আছে ঠিকই তবে একটি জায়গায় এসে ভাবনার বিন্দুগুলো মিলে যায়। আর তা হলো—কবিতা, শুধুই কবিতা। এই প্রান্তরে জসীম উদ্দিনের রাখাল যেমন আছে, বিষ্ণু দে’র ঊর্বশীও তেমন। কতোটা নিখুঁত ভাবনা জড়ো ক’রে কবিতার এক একটি শব্দ মেলে তা কবিমাত্রই জানেন। এই যে শব্দ-সিঁড়িতে উত্থান—সময়ের , পারিপার্শ্বিকের, অজানা বোধের আবহ উপেক্ষা ক’রে নিরন্তর নিজের লক্ষ্যে চলা, এতে কবি নিজেই নিজের সহযাত্রী। এ পথের একান্ত আনন্দ বেদনা কষ্ট খুবই আত্মগত। সেই নিভৃত-স্থিত জন্মভ্রূণ থেকেই বিস্তৃত হতে থাকে কবির উপলব্ধির ডালপালা।রহমান হেনরী’র মনন-মৃত্তিকায় অনুভবের বিভূতি বৃক্ষগুলো স্বর্ণাভ আলোয় উল্লসিত। সেই সমতলে ঘাস-গুল্ম থেকে আকাশ পসারী ঔষধির উত্থান আছে। কবির ভাষায় এর নির্ণিত কারণ, “বিস্মৃত অতীত, বর্তমান, আর ভবিষ্যতের অনির্ণীত সত্য উদঘাটন ও উন্মোচনের জন্যই... কবিতা লিখছি।” “কবিতা আর পাঠকের মধ্যবর্তী শূন্যস্থান, নীরবতা ও অনুভাবনায়” তাঁর পঙ্ক্তিগুলো পাঠকের মনে জায়গা ক’রে নেয়: ভাবতে পারো অনেক সহজ, অ-নে-ক সহজ... বুক-ঝিনুকে মুক্তা হওয়া; সহজ না... ভালবেসে পাথর বুকে ফুল ফোটানো সহজ না... (অনুসিদ্ধান্ত, পৃষ্ঠা, ১৩) এক অনুপম সাবলীলতায় ব’য়ে চলে তাঁর কবিতা: বলো হে প্রগাঢ় মেঘ, বলো নীরবতা, কত আর বর্ণনার ভাষা চাও তুমি? সীমান্ত-সড়কে কেন কুড়াও সংশয়? ... বৃক্ষ থেকে পাতা ঝরে ... জগতের সেও এক রীতি; আঁধার কাঙ্খিত যদি, এই নাও দু’টি চোখ, পাথরিত যুগ্ম-অন্ধকার, (কবিতা/ একবাক্স রাত, পৃষ্ঠা ১৩) বিশ বছরে দশটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন রহমান হেনরী। দশটি বইয়ের সম্মিলন “শ্রেষ্ঠ কবিতা”। এর পয়লা কাব্যগ্রন্থ ‘বনভোজনের মতো অন্ধকার’-এ হোঁচট খেতে হয় কিছুটা। তবে সামলে নেয়া যায়। ভূমি-লগ্ন-পতন রোধ করা যায় যখন: লোকসব, সমুদ্র হাঁসের শিস বস্তুত বাজে না, অর্ধনমিত কান্না, ঘুমন্ত অহম, তবু যাই—ভ্রমে ও ভ্রমণে... (ভ্রমে ও ভ্রমণে, পৃষ্ঠা ১৫) মণি আপা’র স্মৃতিতে তাঁর ভ্রমণ নিরুদ্দেশেও হতে পারে। তাঁর “চোখ জোড়া / কোনও কোনও পূর্ণিমায় আমাকে পাহারা দেয়;/ যেন আমি চাঁদে পাওয়া উদ্ভট যুবক, আমাকে বিশ্বাস নেই,/ যে কোনও মুহূর্তেই নিরুদ্দেশে চলে যেতে পারি...।” কবি আমাদের করুণ প্রাত্যহিকতায় “অসভ্য প্রথার মতো / সমাজ ও মিথ্যার বেসাতি”র এক নিরালম্ব সাক্ষ্য। বনভোজন শব্দে আনন্দ, হৈ হুল্লোড় ঝ’রে পড়ার কথা। কিন্তু এখানে অসঙ্গত অনুভব জড়োসড়ো পড়ে আছে: ... অনেক পেছনে গিয়ে দেখে আসি, হৃতসিদ্ধ সবুজ আকাশ কেমন উপুড় হয়ে কাঁদছে এখনও বাস্তুহারা মানুষের নিশ্চিহ্ন উঠানে! শূন্য কলস একা চিৎ হয়ে দেখছে হতাশা... (বনভোজনের মতো অন্ধকার, পৃষ্ঠা, ২৪) ‘বিষাদের চন্দ্রবন’-এ কবির নির্দেশে যদি নদী বয় “তো, আমি পাথরকে নির্দেশ দিচ্ছি— / হে পাথর! শেকড়ের গান গেয়ে ওঠো!” বর্ষণে সিঞ্চিত হতে পারে ‘বিষাদের দ্রাক্ষাময় স্মৃতি।’ ‘অনন্ত’ বরিষণে ঝরে পড়া যায় ‘জন্মান্তের জয়তুন মে-ঘে।’ এইখানে তিনি অন্যরকমভাবে একা: ... আমি আকাশের আলপথে আজীবন আহত আঁধার দঙ্গল পিঁপড়ার মতো সারিবদ্ধ যাবো কোলাহলে খুঁজে নেবো নৈঃশব্দ্যের ঠোঁট (অভিনব একা, পৃষ্ঠা, ২৫) ‘প্রকৃত সারস উড়ে যায়’-এর ‘সমীকরণ’ অভিনব। তাতে “একটা সমীকরণ হওয়ার সম্ভাবনা”র সূত্রপাত এভাবে: চরিত্র বেশি ভালো হওয়া ভালো না। তাতে বিড়ম্বনা হয়। বিপত্তি বাড়ে। চরিত্র ভালো হলে অবিবাহিত পুরুষও এমনকী যুবতীকেও মনোযোগ করে না। না-পাত্তা দেয়। চরিত্র খারাপ হলে বিবাহিত পুরুষও যুবতী কিংবা অযুবতীরও দেহলোকে দৃষ্টিপাত করে... (সমীকরণ, পৃষ্ঠা ২৪) স্বপ্নের বসবাস ছিলো কবির মনোভূমিতে। একসময় ভালো থাকা গ্রামের “মানুষগুলি পাখিই চেনে না” এখন। স্বপ্ন-ভঙ্গ হয় পাখিদেরও: আমরা তোদের গাঁয়ে কতই না উড়ে উড়ে গেছি , বহুবার! এপারে শীতল মৃত্যুমাঠ, তৃণসঞ্চারিত রীতি; শস্য বলতে যব ও কাউন... (একদা একটি স্বপ্ন বাস করিতেন, পৃষ্ঠা ২৯) ‘আদি ও আসল, ছহি ভেদকথা’য় কবির বন্দনার পরম্পরা কিছুটা সর্পিল ও সংশয়-আশ্রিত। তিনি আদি মাতা হাওয়া’র বন্দনা করলেন। ‘জগজ্জননী’ উমাপার্বতী’র বন্দনা-ও হলো। ফাতেমা’র পূণ্যচরণে ঠাঁই পেয়েও তার ‘গোত্র-ধর্ম-পথ’ ‘বিচ্যুত’ মনে করলেন। তবুও ‘অন্তরালে সেই পথে’ চলা ছাড়া গত্যন্তর যেন নেই। তারপরও কবির ‘পথ চেনা নাই’। বাড়ি যাবার রাস্তা চিনিয়ে দিতে বলছেন গুরুকে: সাধু আমি বাড়ি যাবো, বাড়ি কোন খানে? পথে পথে লক্ষ বাড়ি, সব বাড়ি টানে। এপথে ওপথে তালা, কোথা পাবো চাবি? যশোহর-রোডে কাঁদে প্রয়াত ফারাবী। (পথ, পৃষ্ঠা ৫৩) ‘সার্কাস মুখরিত গ্রাম’-এ বৃষ্টির সম্ভাবনায় শিহরিত কবি। ‘পরিণত’ প্রেমময় ‘পতনোন্মুখ’ বৃষ্টির ব্যাপ্তির প্রতীক্ষায় তিনি: এই যে সামান্য মেঘ, বৃষ্টিসম্ভাবনা— ছন্দিত ঘর্ষণে তাকে নিয়ে যাও গভীর বর্ষণে দীর্ঘক্ষণ সিক্ত হোক মরুর পিপাসা... (বৃষ্টিসম্ভাবনা, পৃষ্ঠা ৬০) এই ‘মুদ্রণার্ত’ কবি আজ ‘সম্প্রকাশিত’। তার ‘ছায়াশীল শোক’-এ ‘ঘুমিয়ে পড়ার মতো সুখ’ আছে যেখানে ‘শীতলতা সঞ্চালিত হয়’, জাগিয়ে রাখে ‘বিরহ শুধু’ কেননা তিনি ‘কবিতা লেখার আগে’-ও কবি। তার “কিছু বিদ্যা সম্প্রচার হয়েছে বাতাসে/(আমিও) আজ /রাত্রির আঁচলে/ ধূলিধামে, ঘাসে/বাঙলার অনার্য আকাশে...।” কবির অনুভব এতটা নিবিড় ও মগ্ন যে স্কুলগামী বালিকার বেদনায় আঁকেন নিপুণ তুলিতে: এত এই শিক্ষাগুলি কোথায় কলস ভরে রাখো? আমার তো ভয় হয়, বিস্ময় লাগে...কী রকম স্ফীতি নিয়ে বহুদূর বিদ্যালয়ে যাও! মুক্তা ফলাবে ভেবে গর্ভিনী ঝিনুক হয়ে ওঠো; এত ভার কী ভাবে বহন করো সখি? (বালিকা বিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৬৬) কারও ফিরে আসার আহ্বান কবির—“ফিরে আসতে বলেছি তোমাকে; / মৃত্যু খুব সামান্য বিচ্যুতি, মৃত্যু থেকে/ সহজেই জেগে ওঠা যায়।” ‘গীতঅনার্য’-এ নদীসুত্র খুলে দেখেন “ধাঁধাশীল অভিমানে/...সকল গান বেজে ওঠে জোনাকি সন্ধ্যায়.../ ইঙ্গিতপ্রসূত অই ভঙ্গিমাও যথার্থই জানে/ বেণীর গোপন ভাঁজে কোন ইচ্ছা কতটা লাফায়!/... বিলি কাটে সূত্রের ভেতরে/ ঝিঁঝিগান; নদীর ভঙ্গিমা থেকে গোপন শীৎকারে/ হঠাৎ উঠেছ জেগে নিরালায়, স্বমেহন ঘরে/ অনার্য ললনা (তুমি), বাঙালির গোপন সংসারে।” অকৃপণ কামনায় তাতানো কবির অকপট উচ্চারণ: দুগ্ধপান করি বটে, অধিক আনন্দ হয় ডুবালে শরীর দুগ্ধপসারিনী জানো? কামধেনু খোলে কেন উদার ওলান? ফল তো খেতেই চাই, সৌন্দর্য-তৃষ্ণায় দুই চক্ষু হয় স্থির পেয়ে গেছি অপুষ্পক সেই এক সুপ্রসিদ্ধ ফলের সন্ধান। (কামধেনু, পৃষ্ঠা ৮৫) ‘অন্ধকার বেলা’র প্রেমিকা প্রচ্ছন্ন স্মৃতিময়, তার কাছে যেতে ‘ডানার লোভ হয়।’ ‘জোনাকিস্বপ্ন’ নিয়ে ‘শিশিরশীতল ঘুম’ আসে। অন্ধকারের মতো তিনিও আছেন অপেক্ষায়: আশ্চর্য প্রেমিকা তুমি, পাখির ডানার স্বপ্নে নামো প্রতিদিনই। সময়ের কাঁটায়, কী ভাবে যে আসো! তথাপি প্রতীক্ষাগীতে কাটে দিন, বিরহব্যাকুল শীতমাসও... (অন্ধকার : পরোক্ষ গোধূলি, পৃষ্ঠা ৯৩) ‘খুনঝরা নদী’-তে সেই প্রেমিকাই হয়তো ছিলো একদিন নিবিড়ভাবে। আর কেউ নয়। ‘স্পর্শভীতি’ নিয়ে, ‘আলেয়ার আলো’র মতো: তুমি ছিলে; আর কেউ অতটা থাকেনি— যে-মতো মেঘের জন্য কিছু রাত্রি লিপিবদ্ধ থাকে; গোপন নদীর মতো এই যে জীবন বয়ে যায়— আমি দেখি, একটি দিনের পিঠে ভেঙে পড়ছে আরও একটি দিন; (স্পর্শভীতি, পৃষ্ঠা ১০২) ‘তোমাকে বাসনা করি’র ‘প্রতীক্ষা বৃষ্টির মতো’ অভিমান ভরা কণ্ঠে ‘তোমাকে বলছি’: মাঠ পেরোলেই দিগন্তে অই আকাশ-ছোঁয়া নদী আমন্ত্রণের হাতছানি তার পাচ্ছি জন্মাবধি (তোমাকে বলছি, পৃষ্ঠা ১২১) অভিমানে কিশোরীকে বলেন: ... কিশোরী বুঝেছে প্রেম চিনেছে সে সুখের অসুখ! কবে সে রমণী হবে—প্রতীক্ষায় থরোথরো কাঁপে তার বুক, কিশোরী পেয়েছে এই নিরঙ্কুশ সুখ। (অভিমান, পৃষ্ঠা ১২৪) ‘গোত্রভূমিকাহীন’-এর ‘সেই গল্প’: ... নির্দেশিত দৃশ্যের প্রয়োজনে চিত্রায়িত কোনও তরুণীর ত্রিশ সেকেন্ড স্থায়ী হাসির জন্য নির্মিত নয়, ... যারা উড়ে যাচ্ছিল বিস্তারিত মাঠ ও বহুকাল আগে নারীর নিতম্বে বিছার মতো ছড়ানো নদীগুলিকে পেছনে ফেলে রেখে উদয়ের খুব কাছাকাছি—এ গল্প তাদের। (সেই গল্প, পৃষ্ঠা ১৩৯) এই ’গোত্রভূমিকাহীন’-এ ‘রহস্যের পাখি’ আছে। আছে ‘গন্ধরাজ’, ‘ফেরা’, ‘বাবার জন্য গান’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়ার খুরের শব্দে’: সকাল, দুপুর, রাত্রিকালে—ভেঙে যাচ্ছে পাখিদের নিভৃত সংসার... ঘুঘুদের, বুলবুলির, ডাহুকের গ্রামে লেপ্টে যাচ্ছে খাঁখাঁ শূন্যতার মোম—ঘোড়ার খুরের শব্দে স্বপ্নবনে ‘অজন্মার গ্রাস’ শব্দশাসিত ঢেউয়ে, রেশন-বাতাসে, এহেন শরতে— শাপলা-ফোটার দিন নিখোঁজ সংবাদে সমাহিত; (বখতিয়ারের ঘোড়ার খুরের শব্দে, পৃষ্ঠা ১৩৪) তাই দুধশাদা ঘোড়া-ই বাস্তব: চিরকাল ঝিঁঝিঁরাই উচ্চকিত ছিল, বিশেষ ঋতুতে ব্যাঙেরাও সংগীতমুখর; আমি কোনও সন-ঋতু-মাসিকের পঞ্জিকা রাখি না—পঞ্জিকাই মানুষের শ্রেষ্ঠতম ভুল; ঘরের দুয়ারে যদি দুধশাদা ঘোড়া— ... তেমন ঘোড়ার জন্য আমার স্বপ্নকে ছাড়া সবকিছু বাজি ধরতে জানি; .... তেমন ঘোড়ার জিন আমি কিন্তু বহুবার স্বপ্নে নয়—বাস্তবে ছুঁয়েছি...” (দুধশাদা ঘোড়া, পৃষ্ঠা ১৬৩) রহমান হেনরী কবিত্বের সংকলন—সম্মিলিত কবি। আমার তো তাই বোধ হয়েছে। কবির দুই দশকের সযত্ন সম্ভার উপভোগের প্রয়াসে বার বার তাঁরই দারস্থ হয়েছি। আলোচনা বা সমালোচনার সীমা দিগন্তের মতোই। অযথা তার ধার-কাছে যাবার পক্ষপাতি আমি নই। যে ভাবনার বেড় পাওয়া দুরূহ, সেই নিঃসীম, নিরালোক, দূর-পরিলক্ষিত উপলব্ধি—সেইসব নিবিষ্টতার স্পর্শ পাওয়া যাবে তাঁরই শব্দ-মন্থনে। তাঁর কবিতায় প্রথম শব্দ থেকেই অবগাহন অবধারিত হয়ে ওঠে। শব্দ-বিন্যাসে ধ্বনি একরকম মুগ্ধ-ধ্যানময়তায় এগোয়। নিঝুম অতলতার ভেতরেও আলোর চমকানি এঁকে যায় সুরময় আভায়। মনে হয়, ওহো এভাবেও ধ্বনি-প্রণয় ঘটানো যায়! দারুণ তো! প্রায় প্রতিটি কবিতার পঙ্ক্তির পর পঙ্ক্তিতে সেরকম উদার রহস্যের দ্বার অবারিত। বিষয়-বৈচিত্র্য তো বটেই, হেনরী’র বাক্সময় ছন্দ-প্রবাহ প্রিয় নদীর মতো। যদিও তা কখনও কখনও সন্ধ্যার কিংবা কুয়াশা-ঢাকা আবছায়া নদী। রহমান হেনরী, শ্রেষ্ঠ কবিতা, নদী, ঢাকা, ২০০৮; পৃষ্ঠা: ১৭০, মূল্য: ১৮০ টাকা কবিতা: কালের অমৃতধারাচর্যাপদ থেকে শুরু করে বর্তমান কালের কবিদের বিভিন্ন কবিতার আবৃত্তির সিডি "কালের অমৃতধারা"। আবৃত্তি ও গ্রন্থনা করেছেন নিউইয়র্কবাসী আবৃত্তিকার ফারুক ফয়সল। প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ, বাউল কবিতা ও আধুনিক যুগ এই চারভাগে ভাগ করা হয়েছে সিডিবদ্ধ কবিতাগুলোকে। লুই পা, ভুসুকু পা, বড়ু চণ্ডীদাস, চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, রায়শেখর থেকে শুরু করে মাইকেলের 'কপোতাক্ষ নদ' হয়ে হুমায়ুন আজাদের 'যে তুমি ফোটাও ফুল'-এ স্থির হওয়ার মতো একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন আবৃত্তিকার। আগ্রহী শ্রোতা হয়তো বার বার শুনতে চাইবেন বাংলা ভাষার প্রদীপ্ত কবিতাগুলো। সিডিটি প্রকাশ করেছে ঢাকার অগ্নিবীণা। বাঁশিতে ছিলেন উত্তম দাস।—হাআ |