Poetry in Bengali
|
অনুরাধা মহাপাত্র গাঁজাখোরের দিবাস্বপ্ননিজের নিসর্গ থেকে মোহনার মতো বেঁকেঅন্য মোহনায় ওই রক্ত-ধূসর ঈভশূন্যতাকে করতলে লুকিয়েছ কত ভালোবেসে। আজ আর মনে নাই—রাই আজ আধখানা বশিষ্ঠ নক্ষত্রের পিঠ থেকে পাকা বেদানার মতো শ্লেষে জমে গিয়ে পেকে উঠে পৃথিবীর পারে এসে শ্বাসরোধী শূন্যতায় ঘুরে ঘুরে নামা যেন জানালা জানে না ট্রামগাড়ী চড়িয়াছ—জান নাই ধ্রুপদ-ধামার। হে শূন্যতাশূন্য বালি-সাঁতারের জ্যোৎস্নায় অলীক সারসনীলসরস্বতীর শরীরের আভার মতন দূরে আনত কোনো আঁধারের বৃষ্টির মতো ধ্রুবমদে রয়েছে অতল পাগল নারীরা—হাবা তৃণ—অন্ধ ফকির নীল ধুতুরায় নীরাভার মতো কেউ আছে—প্রাচীন নাটকে-মল্লারে জলহীন এইজনপদনারী ক্রমে কুয়ো হয়; তাদের পিপাসায় পচে যাওয়া কাদা-কেশরাস থেকে ঝরে ঝর্ণা গোপন পথের; জল না পেয়ে ওইসব পথ হয় প্রাচীন প্রবাদ; প্রেম না পেয়ে ওই হাঁসফাঁসে নিভৃত জড়ায় মানুষের গায়ের রঙ আর জলের মৃত্যুর ঘ্রাণ নিয়ে পৃথিবী ধ্বংস হল বহুবার—রন্ধনপ্রণালী থেকে নতুন জিনের জন্ম—হরিণ ও সাপের ভিন্ন বাঁচার প্রক্রিয়া—আসলে তা একই রক্তমাখা হাওয়ার সন্ত্রাস—বার বার আকাশের উৎস খোঁজার—মাথার অন্তিম সেল ঘুরে ঘুরে পায় শুধু অবিরাম অন্তহীন অ-বেদন জলের প্রহার—হাস্যময় ওই মুক্তি গান গায় ঘাসকাটবার শ্রমে বুড়ো ঘোড়াদের হাসির বিভ্রমে—জামরুল পেকে গেলে গাছে গাছে পাগল পিসির কিবা যায় আসে গলায় দেবার দড়ি কুয়ো থেকে যদি নাই ওঠে! অ-মানব—মানবীর মুখ ভাসে হা-হা শূন্যতায়। কালো নক্ষত্রের স্মৃতিনক্ষত্রের গর্ত থেকে কতকোটি নক্ষত্র যে কলরব করেআমি শরীরের থেকে সব জরি মুছেই ফেলেছি ধুয়ে রাখছি মাটির বাসন সজনে ফুল যেভাবে গভীরে থাকে গন্ধে সুরভিত অবশেষ শ্মশানের বৃষ্টির ভেতর আর্ত ছায়াটি বোঝে এই শিশিরের শেষে নতুন পাতার রেখা কিছু প্রত্ন নখের কোমলতা, ঝরা প্রত্যয় যুদ্ধ অসম—আর হৃদয়ের তাপ পুনঃশ্রুতিময় অন্ধকারের থেকে অবিরাম একতারা, কথার অংকুর পাগল হাওয়ায় মাটি, অনির্ণেয় রক্তাক্ত শিশির |