|
Poetry in Bengali/বাংলা কবিতা
Rassel Ahmed
Kalikrishna Guha
Sardar Faruque
Suman Dhara Sharma
Naznin Seamon
Munib Rezwan
Prang Basak
Subir Sarkar
Robiul Manik
Kawsary Malek Rosy
Hassanal Abdullah
|
|
সরদার ফারুক
ক্যাথারসিস
অন্তর্গত অন্ধকারে ডুবে
তুলে আনি শূন্যতার অয়স্কান্তমণি।
একে তুমি পলায়ন বলো,
বলো মনোবিকলন?
পথ থেকে সরে গিয়ে বিপথেই হাঁটি;
পাথরে পাথর গেঁথে ভাঙি স্থাপত্যের
যাবতীয় পুরনো ধারণা।
একে তুমি নির্বাসন বলো,
বলো উন্মার্গগমন?
অন্তর্গত অন্ধকারে থাকি
এইতো আমার অমল ক্যাথারসিস!
বাবিলের প্রতি
এ বিচার প্রহসন মাত্র
গোপন উদ্যোগ থাকে ভেতরে ভেতরে।
সহসা বদলে গেলে স্বর
বৃথাই বিস্মিত।
রক্তপাতে ভিজে গেছে ভূগোলের পাতা
ইতিহাস কীটের খোরাক।
সৌরকলঙ্কের চিহ্ন যুক্তির ফাটলে
বিজ্ঞান নিজেই ক্রীতদাস।
বিশ্বায়নে সেজেছো বাবিল
মানুষের রক্তচোষা বেবুশ্যে নগরী!
সত্যের মুখ
সাপের খোলস হয়ে খসে পড়ে পিউটার স্কিন
‘চরৈবেতি’ বলতেই অন্ধকার পাখা সাপটায়
হায় কান্তিবিদ্যা, হায় অদেখা শিখর
আত্মহননের গুপ্ত প্ররোচনা শাপগ্রস্থ প্রাচীন নগরী!
ধাতুবিদ্যা এখনো জানিনা
কি করে পৃথক করি আকরিক থেকে
অপদ্রব্য, অমূল্য খনিজ?
শিরোপায় কাজ নেই লাঞ্ছনা দিওনা
বোধিবৃক্ষতলে বসে তিতিক্ষু শ্রমণ।
জ্যামিতির কথা
গোপন ত্রিভুজ থেকে সূত্র নিয়ে গুহার মানুষ
আদি গৃহ বানিয়েছে বুনো ঘাস ডালপালা দিয়ে?
অভিজ্ঞতা ছাড়া কিছু নেই;
গোলাকার চন্দ্র দেখে─নারীর সুগোল স্তনে পেয়েছিলো বুঝি
চাকার সংকেত? জ্যামিতির এই গুপ্ত কথা ভেবে
শিহরিত। অভিজ্ঞতা নেই, তাই স্বপ্নেও আসোনি
অন্ধ ঘুমে তীক্ষ্ণ সূচ বিঁধে বিঁধে যায়।
জন্তুর নখরে
জন্তুর নখরে ছিঁড়ে ফেলো
ছিন্নভিন্ন হই।
হেমন্তের ঝরা পাতা, উড়ি;
দূরে যাই শিমুলের তুলো
ক্ষিপ্র ধূলো-ত্রাসরেণু আলোর ভাষায়।
কোথাও ঝরছে অগোচরে
ফোঁটা ফোঁটা শুশ্রুষা আরক?
দূরস্থিত ছায়াপথে কোথাও জ্বলছে
অলখ সূর্যের শিখা?
ঢাকা
|
|