Shabdaguchha: Logo_new edited by: Hassanal Abdullah issue: 73/74




Contributors:

Poets and Translators:

Adam Szyper
Amir Or
Aniela Gregorek
Beata Pozniak
Bill Wolak
Birutė Jonuškaitė
Danuta Bartosz
Dariusz Tomasz Lebioda
Hassanal Abdullah
Hatif Janabi
Jerzy Gregorek
Jaroslaw Pijarowski
Joan Digby
Józef Baran
Kazimierz Burnat
Małgorzata Żurecka
Lee Kuei-shien
Maria Mistrioti
Mirosław Grudzien
Nat Scammacca
Naznin Seamon
Sona Van
Stanley H. Barkan
Tomasz Marek Sobieraj
Zbigniew Milewski


Poetry in Bengali

Ahmed Shiplu
Rafiquzzaman Rony
Roni Adhikari
Uday Shankar Durjoy


Short Reivew

Belal Beg


Letters to the Editor

Badal Ghosh
Jasim Uddin Tutul
Maria Mistrioti
Nilas Mazumder
Noorelahi Mina
Jelani Sarker


Cover Art:

Jacek Wysocki


Logo:

Najib Tareque




Celebrating 21 Years of Publication
প্রকাশনার একুশ বছর


    সম্পাদকের জার্নাল

Editor’s Journal



একজন আপন মানুষের বিদায়
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন একজন সৎ রাজনীতিবিদ এবং যতোদূর জানি তিনি অনেকটা সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যে তিনি নিজের বাড়ি বিক্রি করেছিলেন বলে খবরে এসেছিলো, অথচ যে সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি সেই সরকারের কাছে হাত পাতেননি। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য সন্তান তিনি। মার্জিত, ভদ্র ও সহনশীল। এই বিদগ্ধ রাজনীতিকের সাথে আমার একবারই দেখা হয়েছিলো। ২০০৫ সালের নভেম্বরে নিউইয়র্কে আমার একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় শাহরিয়ার কবিরের সাথে। এটি ছিলো শহীদ কাদরীকে নিয়ে লেখা আমার বই "সময়ের সম্পন্ন স্বর"-এর প্রকাশনা উৎসব। তিনি তাঁর বক্তৃতায় কাদরীর সাথে কাটানো লন্ডনের আটপৌরে দিনগুলোর হাস্যরস সমৃদ্ধ চমৎকার বর্ণনা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, "কিন্তু এই বইয়ে কাদরীর লন্ডন বসবাসের অংশ একেবারেই অনুপস্থিত।" অনুরোধ করেছিলেন পরবর্তী সংস্করণে সংযোজন করতে। আমার বইটি ছিলো মূলত কাদরীর সাথে বারো বছর ধরে কথোপকথন ও তাঁর সাক্ষাৎকারগুলোর উপস্থাপন। মজার ব্যাপার হলো কাদরী কখনো এইসব আলাপে তাঁর জীবনের লন্ডন অংশ তুলে আনেননি। ব্যাপারটি তখন আমাকে অবাক করলেও পরবর্তী সময়ে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম যে অতীতের উল্লেখযোগ্য ঘটনা বা ঘটনাবলি ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুলে যাবার চমৎকার একটি প্রবণতা জীবনের পরতে পরতে জুড়ে দিতে পেরেছিলেন এই কবি। কাদরীর এই ভাবপ্রবণতা আবিষ্কার করার ব্যাপারে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রথমে হুমায়ুন আজাদ, অতঃপর ওই অনুষ্ঠানে আলোচনার ভেতর দিয়ে সৈয়দ আশরাফ আমার চোখ খুলে দিয়েছিলেন। পরে, অবশ্য তিনি আওয়ামীলীগ-এর সাধারণ সম্পাদক হলেন, মন্ত্রী হলেন। প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাঁর সাথে দেখা হওয়ার আর কোনো সুযোগ আসেনি। টিভির খবরাখবর বা কদাচিৎ অন্য কোনো অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্য শুনে সর্বদাই তাঁকে আপন মনে হতো। সেই আপন মানুষটির বিদায়ে গভীর বেদনা অনুভব করছি।

নৌকা স্বাধীনতা ও আমার বাবা
বাবাকে যখন ওরা অন্যান্যদের সাথে, যে কাফেলায় বেশ কিছু নারীও ছিলেন, সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করেছিলো তখন আমার বয়স তিন। প্রায় সকলেই ওই অপরেশনে মারা গেলেও, মধুমতির জলে অকস্মাৎ ঝাঁপ দিয়ে মাত্র দুই একজন প্রাণে বেঁচে যান। বাবা অবশ্য আহত অবস্থায় স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে মারা যান। আমার মায়ের বয়স তখন ১৮ থেকে ২২ (ধারণা করি যেহেতু তাঁর জন্ম তারিখ লেখাজোকা ছিলো না)। গ্রামে আমাদের তিন ভাই বোনকে লেখাপড়া করাতে বহু কষ্ট করেছেন। কষ্ট করেছি আমরাও। কিন্তু সরকারী কোনো সহযোগিতা কোনো দিন চাইনি, এবং পাইওনি। তবে, বাবার জীবনের বিনিময়ে, তিরিশ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেটাই তো আমাদের জন্যে পরম পাওয়া। বাবা তো আমাদের জন্যে রেখে গিয়েছেন মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেয়ার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা। কিন্তু আমরা সর্বদাই চেয়েছি রাজাকারদের বিচার। রাষ্ট্রের কাছে তো আমাদের এই একটিই চাওয়া ছিলো। দেরীতে হলেও রাষ্ট্র সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছে। জাতির জনকের সন্তান আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামীলীগ সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাগ্রতার সাথে এমনকি জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন ছয় শীর্ষ রাজাকারকে। দেশকে তুলে দিয়েছেন উন্নয়নের মহাসড়কে। হ্যাঁ, স্বীকার করছি এখনো দেশের নানা পর্যায়ে দুর্নীতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐকান্তিক ভাবে চাইছেন একটি দুর্নীতি মুক্ত সমাজ। মাশরাফির মতো ক্লিন ইমেজের নতুনদের মনোনয়ন দিয়ে তিনি তাঁর সেই অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষত হয়েছেন। রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার জন্যে, উন্নয়নের মহাসড়কে আরো শক্তিশালী হওয়ার জন্যে, দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্যে আমি শেখ হাসিনার নৌকায় আবারও ভোট দেবো। কারণ শেখ হাসিনার নৌকাতো তিরিশ লক্ষ শহীদের নৌকা।

আমার ২৫টি কবিতা রোমানিয়ান ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে
কবি ও বিশিষ্ট অনুবাদক অলিম্পিয়া ইয়াকোভের তত্ত্বাবধানে আমার ২৫টি কবিতা অনূদিত হচ্ছে রোমানিয়ান ভাষায়। এর মধ্যে দশটি কবিতা বিশিষ্ট কবি ও সমালোচকদের মূল্যায়নসহ স্থান পাবে ছোটো কবিতা নিয়ে সে দেশে প্রকাশিতব্য একটি বিশেষ এন্থোলজিতে। বাকি ১৫টি কবিতা বিখ্যাত রোমানিয়ান কবি মারিস স্যালারির সাথে যৌথ একটি ত্রিভাষিক (বাংলা-ইংরেজি-রোমানিয়ান) কাব্যগ্রন্থে স্থান পাবে। স্যালারির কবিতা এ গ্রন্থের জন্যে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করবেন কবি নাজনীন সীমন। বাংলা থেকে ইংরেজিতে আমি নিজে ছাড়াও আমার কবিতাগুলো অনুবাদ করেছেন জ্যোতির্ময় দত্ত, নজরুল ইসলাম নাজ, পূর্ণিমা রায়, সিদ্দিক এম রহমান ও একক সৌবীর। এর আগে আটটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে আমার কবিতা। এই নতুন প্রজেক্ট আগ্রহী হয়ে হাতে নেবার জন্যে কবি অলিম্পয়া ইয়াকোভের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

আমার কবিতা
আজ ছিলো সেমিস্টারের শেষ দিন। কাল থেকে নতুন সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগে আজ নানা রকম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রায় সারা দিনই শিক্ষকদের মিটিং ছিলো। দিনটির নাম চ্যান্সেলর'স ডে। সকালের নাস্তা ও দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। দুপুরে খেতে বসতেই, আমার টেবিলে বসা আরেক শিক্ষক যিনি ই.এন.এল (ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ লারনার) শিক্ষক, আমাকে বললেন, আপনার কবিতা পড়লাম। আমি শুনে খুশি হয়ে বললাম, তাই নাকি! এ তো আমার সৌভাগ্য! তিনি বললেন কবিতাগুলো যথেষ্ট স্বচ্ছ ও গভীর। আইরিস কবি... মতো? তিনি নাম খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আমি বললাম, আপনি কি ইয়েটস-এর কথা বলছেন? তিনি বললেন, না না সমকালীন কবি, যিনি বেউল্ফ অনুবাদ করেছেন। আমি বললাম, সিমাস হিনি! তিনি বলেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ সিমাস হিনি। আপনার কবিতা অনেকটা তাঁর কবিতার মতো। আমি বললাম, বলেন কি? আপনি ইংরেজি সাহিত্যে ব্যচেলর-মাসটার্স, আপনার মুখে এমন মন্তব্য শুনে আমি তো অবিভূত! জানালাম, হিনি আমার প্রিয় কবিদের একজন।...মজার ব্যাপার হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ভাবতাম, শামসুর রাহমানের মতো কবিতা লিখবো। এবং আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর এক আলোচক লিখলেন, তার কবিতায় শামসুর রাহমানের গাম্ভীর্য বিদ্যমান। পরে, যখন আমেরিকায় বসবাস শুরু করি, তখন আমার কেবলা বদলে গেলো। সিমাস হিনি, ডেরক ওয়ালকট, জোসেফ ব্রডস্কির মতো কবিদের পড়তে পড়তে মনে হতে লাগলো এঁদের মতো যদি লিখতে পারতাম! ফলত, আজ সহকর্মীর মন্তব্যে আমার তো খুশি হবারই কথা।

দু’খানা মূল্যবান চিঠি
সম্প্রতি ফেসবুকে আমি দু'টি বার্তা পেয়েছি আমার দু'খানা বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া স্বরূপ। আমার বহুল পঠিত বই ‘কবিতার ছন্দ’ নিয়ে এ পর্যন্ত অসংখ্য প্রতিক্রিয়া এসেছে, যার কিছু ইতিপূর্বে বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগিও করেছি। আর ‘কবিতার স্বদেশ বিদেশ’ প্রকাশ পেয়েছে এ বছর বইমেলায়। নিচে মন্তব্য দু'টি তুলে দেয়া হলো।

১.

একটি বই পড়ে প্রথম আপনাকে চিনতে শুরু করি। বেশি জানার সুযোগ হয়নি। প্রথম চেনার অভিজ্ঞতা বলছি—কবিতার প্রতি একটা ঝোঁক থেকে বিভিন্ন ধরনের কবিতা শিখতে আগ্রহী হয়ে উঠি। কিন্তু বাংলার প্রাথমিক ছন্দগুলো শিখতেও খুব কষ্ট হচ্ছিলো। বাজারে প্রচলিত কয়েকটি (গোটা পাঁচেক) বই কিনেও ছন্দের ধারণা পরিষ্কার করতে পারিনি। প্রতিটা বই-ই কঠিন লাগে। এক সময় ইন্টারনেটে সার্চ দিতে শুরু করি। একটি ব্লগে কবিতার ‘উপপর্ব’, ‘অতিপর্ব’ বিষয়ক একটি আলোচনা আমাকে আকর্ষণ করে। পরে খোঁজ করে একটি বইয়ের সন্ধান পাই—‘কবিতার ছন্দ’। লেখক: হাসানআল আবদুল্লাহ। রকমারিতে সার্চ দিয়ে বইটির অর্ডার দেই। বইটি হাতে পাওয়ার পর আমি এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে, একটানা কয়েকটি অধ্যায় পড়তে পড়তে উপভোগ করতে থাকি, ছন্দ নিয়ে এতো সুস্পষ্ট কথা আগে আর কোনো বইতে আমি পাইনি। ২০১৭ বইমেলায় লিটলম্যাগ চত্বরে আপনার কয়েকটি বই এবং লিটলম্যাগের দেখা মেলে কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, সেদিন আমার টাকা ফুরিয়ে এসেছিলো। একটিমাত্র লিটলম্যাগ ছাড়া আর তেমন কিছু কিনতে পারিনি। স্টলে বসে থাকা ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনার দেখা পাওয়া যাবে কি না। সে জানালো আপনি দেশের বাইরে থাকেন। শুনে খারাপ লাগলো যে, আপনি আগের দিনই বইমেলাতে ছিলেন। এরপর ইন্টারনেটে খুঁজতে থাকি। একসময় আপনার কিছু পিডিএফ ও আলোচনা পেয়ে যাই। ফেইসবুকে খুঁজে পাই আপনার আইডি। বেশ কয়েকবার রিকয়েস্ট দিয়েছিলাম। আজ গ্রহণ করেছেন দেখে আমি আপ্লুত হয়েছি। মজার ব্যাপার হলো আপনার বইটা পড়ার পর থেকে আমি এখন আমার আগের কেনা ছন্দ বিষয়ক জটিল বইগুলোও নিজের মতো বুঝতে পারি। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘কবিতার ক্লাস’-এ মজা পাই। আবারও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে বন্ধুতালিকায় রাখার জন্য। (—জিলানী সরকার)

২.
স্যার আমি আপনার ‘কবিতার স্বদেশ বিদেশ’ বইটা পড়েছি। যদিও সবটা শেষ করতে পারি নাই, তবে আমাকে বারবার আটকে দিচ্ছে ‘হুমায়ুন আজাদ: বহুমাত্রিকতার সাহসী স্বরূপ’ এই পাঠ। আমি কয়েকবার পড়েছি এই প্রবন্ধখানা। এই ক্ষুদ্র জীবনে যদি কোনদিন আপনার সাথে দেখা হয়, তাহলে হুমায়ুন আজাদ স্যারকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলা থাকবে। ‘কবিতার স্বদেশ বিদেশ’ বইখানা আমার অনেক বেশি ভালো লাগছে। আমাদের এমন সুন্দর একখানা বই উপহার দেবার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। (—নিলাস মজুমদার)

—হাসানআল আব্দুল্লাহ

Find us on Facebook



Printed Version
পত্রিকার মুদ্রিত কপি



Contents:


Polish Poetry

Poetry in English 1

Poetry Translated from Other Languages

Poetry Bengali to English

Poetry in Bengali

Editor's Journal

Short Review

Shabda News

To the Editor

Contributors' Bio







শব্দগুচ্ছর এই সংখ্যাটির মুদ্রিত সংস্করণ ডাকযোগে পেতে হলে অনুগ্রহপূর্বক নিচে ক্লিক করে ওয়ার্ডার করুন।

To order for the hardcopy of this issue, please click on the following link:

Get a Hardcopy

Back to Issue 77_78
Back to Front Page Send Your Feedback
Shabdaguchha, an International Bilingual Poetry Magazine, edited by Hassanal Abdullah