|
Contributors:
Poets and Translators:
Adam Szyper Amir Or Aniela Gregorek
Beata Pozniak Bill Wolak Birutė Jonuškaitė
Danuta Bartosz Dariusz Tomasz Lebioda
Hassanal Abdullah Hatif Janabi Jerzy Gregorek
Jaroslaw Pijarowski Joan Digby Józef Baran Kazimierz Burnat
Małgorzata Żurecka Lee Kuei-shien
Maria Mistrioti Mirosław Grudzien Nat Scammacca
Naznin Seamon Sona Van Stanley H. Barkan
Tomasz Marek Sobieraj Zbigniew Milewski
Poetry in Bengali
Ahmed Shiplu Rafiquzzaman Rony Roni Adhikari
Uday Shankar Durjoy
Short Reivew
Belal Beg
Letters to the Editor
Badal Ghosh Jasim Uddin Tutul Maria Mistrioti
Nilas Mazumder Noorelahi Mina Jelani Sarker
Cover Art:
Jacek Wysocki
Logo:
Najib Tareque
|
|
Celebrating 21 Years of Publication
প্রকাশনার একুশ বছর
Poetry in Bengali
আহমেদ শিপলু
ধ্যানমগ্ন ঘুম
হালকাভাবে চোখ বন্ধ করুন
ধীরে ধীরে দম নিন।
দম নিতে নিতে ভাবুন
আপনার শরীর ছেড়ে আপনি বেরিয়ে পড়েছেন
আপনার অঙ্গ বলে কিছু নেই
আপনি শুধু আত্মা বা প্রাণ
যেদিকে মন চায় উড়তে থাকুন
তখন আপনি আর আপনি নন
আপনার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলে কিছুই নেই
আপনার বলতে, আছে শুধু মন।
যাঁর কোনো জাত নেই, ধর্ম নেই
বর্ণ নেই, হিংসা নেই; ইহকাল নেই, পরকাল নেই।
আপনি উড়তে উড়তে চলে গেলেন সুদূর অতীতে
দেখলেন—তরবারি হাতে যুদ্ধরত মানুষ!
রক্তাক্ত ময়দান।
সকলেই ব্যস্ত স্রষ্টার আরাধনায়।
পরস্পর স্রষ্টার শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষায়—
মন্দির, মসজিদ, গির্জা, প্যাগোডা।
দলে দলে লোকেরা সেখানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত!
রক্তের নেশায় উন্মাদ!
আত্মস্বার্থ রক্ষায়, ধর্মের নামে দেশ দখল, রাজ্য দখল।
দেখলেন—
নারী-পুরুষ বিক্রি হয় হাটে বাজারে
জমজমাট দাস ব্যবসা।
আপনি আবারো উড়তে লাগলেন
আরো দূর...
দেখলেন, মানুষের গায়ে কোনো পোশাক নেই।
দেখলেন, নারী পুরুষের সহাবস্থান।
পাথরে পাথর ঠুকে আগুন জ্বালানোর চেষ্টারত মানুষ।
আপনি ঠিক বুঝতে পারলেন না—
তারা হিন্দু না মুসলমান, বৌদ্ধ না খ্রিষ্টান।
আপনি আরো কাছে গেলেন
কান পেতে শুনলেন তাঁদের কথাবার্তা।
কিন্তু তাঁরা আরব না ইংরেজ, বাঙাল না আর্য;
কিছুই বুঝতে পারলেন না।
আপনি উড়তে লাগলেন
সাগর মহাসাগর পেরিয়ে বহুদূর...
দেখলেন ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ মানুষ
খাদ্য সন্ধানে ব্যস্ত নিশিদিন।
তাঁদের খাদ্য তালিকায় তখনো নিষিদ্ধ বলে কিছু নেই।
শূকর কিংবা হরিণ, কাঁচা অথবা পুড়িয়ে
ক্ষুধানিবৃত্তিই তাঁদের অন্যতম ধ্যান।
তখনো মন্দির উপাসনালয় গড়ে তোলেনি তাঁরা
রচনা করেনি কোনো ধর্মগ্রন্থ
লিপ্ত হয়নি পরস্পর যুদ্ধে।
আপনি দেখলেন তাঁদের অপার সম্ভাবনা
আগুন জ্বালাতে শিখছে তাঁরা
কাঁচা মাংস পুড়িয়ে
সুস্বাদযুক্ত মসলায় খেতে শিখছে নিত্য
গোত্রপতির নির্দেশে গড়ে চলেছে শৃঙ্খল সমাজ।
তাঁরা একে একে আবিষ্কার করছে প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র।
পোড়ামাটিশিল্প রপ্ত করছে তাঁরা—
লোহা, তামা, পাথুরে ছুরি, তীর-ধনুক, বল্লম...
নিত্যনতুন আবিস্কারে মগ্ন মানুষেরা
পাথুরে পাহাড় কেটে বানিয়েছে গুহা।
এবার হালকাভাবে চোখ খুলুন
ধীরে ধীরে দম নিন
দেখুন—
সেই সম্ভাবনাময় লোকেরা কোথায় পৌঁছেছে!
অলৌকিক আরাধনায় কতোটা ভুলেছে অতীত
মিথ্যা প্রলোভনে কতোটা ভুলেছে সত্য।
ত্রিবিন্দুর মিলনসভায়
[নির্যাতিত শিক্ষক শ্যামল কান্তির নিকট ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক এই কবিতা]
সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড শুনে কাগজের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো কলম। পাখির পালকের কোমলতা
পেরিয়ে কালিতে চুবানো শুভ্রকঠিন নিব থেকে কোনো শব্দ লেখা হয়নি সেদিন। একটি বিন্দুতেই
থেমেছিলো মৃত্যুদণ্ড ও বিষ পানের অধ্যায়।
আরেকবার ব্র“নোর কথা ভাবতে গিয়ে— গ্যালিলিও, লোরকা, হুমায়ুন আজাদ আর একজন মহা
খুনির কথা ভাবতে গিয়ে— অনেক কিছু লেখার বদলে একটি নির্বাক বিন্দু এঁকেছিলাম।
আজো একটি ভয়ানক বিস্ফোরণকে লুকিয়ে ফেলতে চাইলাম। অজস্র শ্যামল কান্তির দুঃখে,
ভারাক্রান্ত কলম থেকে প্রতিবাদের বদলে—একটি নির্বাক বিন্দু হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেলো
পূর্ববিন্দুদ্বয়ের দিকে।
ত্রিবিন্দুর মিলনসভায় ক্রন্দনরোল। সক্রেটিস থেকে শ্যামল কান্তি— এক পা-ও এগোয়নি মানুষ।
দাঁড়কাক ও টিয়ার গল্প
একটা পুরুষ দাঁড়কাকের সাথে একটা সবুজ মেয়ে টিয়ার বিয়ে হয়েছিলো। স্বামী দাঁড়কাক সবুজ
বউকে ডাকতো রানি বলে। রানি স্বামীকে ডাকতো সম্রাট। এভাবে তাঁরা কাটিয়ে দিলো হাজার
কয়েক বছর।
ভালোবাসা আর মমতায় ভরা সুখী জীবনের গল্পে একদিন হানা দিলো বিশ্বাসের বাঘ। তুমুল
যুদ্ধ, রক্তক্ষয় আর মৃত্যুর শোক পেরিয়ে তাঁরা পৌঁছে গেলো আরেক পৃথিবীতে।
নতুন পৃথিবীর বিশ্বাসী নেতা—সম্রাটকে দিলো স্বাধীন ডানা, মুক্ত আকাশ; আর সবুজ টিয়াকে
সযত্নে পুরে দিলো অদৃশ্য খাঁচায়। সেই থেকে সকলে দলে দলে খাঁচার ব্যবসায় সফল পরস্পরা।
সবুজ টিয়া আজো খাঁচাকেই ভালোবাসে—এই বলে কাক-সমাবেশের দিকে তাকালো
দাঁড়কাক। হাজারো পাতিকাক সমস্বরে চিৎকার করে বললো—ঠি ই ই ই ক! ঠি ই ই ই ক!
ঢাকা
রনি অধিকারী
এই নিষিদ্ধ নগরী ছেড়ে ০১
আমি শুধু জানি গন্তব্য আসল পরিচয়Ñবেঁচে থাকা এই নিষিদ্ধ নগরী!
রক্ত ও অশ্র“তে মাখামাখি এক রহস্য নরক:
বিহ্বল বিন্দুতে এই অসহ্য দাঁড়িয়ে থাকা অবিচল দারুচিনি গাছের মতন
কিংবা কম্পাসবিহীন আমার সাম্পান; আদিগন্ত দিশেহারা।
সর্বোপরি হতভাগা ঈশ্বরের সহযাত্রী!
অথবা, আমাকে নিয়ে যাবে কোনো অচেনা নগরী!
কোনো গহীন অরণ্য, একমুঠো স্বস্তির স্নিগ্ধতা অতর্কিতে এভাবে ছড়িয়ে।
শরীরের জ্যামিতি ভাঙার জন্য নিয়ে যাবে গ্রীক রমণীর দেশে!
উত্তপ্ত শরীর থেকে আমি ঢেলে দেবো তরল পারদ, ভাঁজ খুলে
আঙুলের ম্যাজিক শিখিয়ে দেবে তুমি, আমি মধুর ভাণ্ডার থেকে তখন আকণ্ঠ
তুলে নেবো অমৃতের স্বাদ।
ঢাকা
উদয় শংকর দুর্জয়
২০৫০ এর কবিতা
ডিসেম্বরের তপ্ত কড়াইয়ে তুমি রাধছো শীতের বৃক্ষ,
বারান্দায় তোমার সেইসব পৌষ-ভাজা রোদ্দুর পুড়িয়ে দিয়ে যায়
পড়ার টেবিলে পড়ে থাকা স্ক্যান্ডিনেভিয়ার জমাট পাহাড়।
এ তো না হয় এই গোলার্ধের শীতপাহাড় আর তুষারগাড়ির সন্দেশ সমগ্র।
২১ জুলাই ১৯৬৯, মনে আছে? ২০১৯ সালের
ওই দিনটা হবে নিল আমস্ট্রংয়ের চাঁদের পেয়ালায়
পা ছোঁয়াবার ৫০ বছর। তারও ৫০ বছর পর অর্থাৎ ২০৬৯,
আমাদের স্পেইস শিপ ততদিন মঙ্গল ভূ-ত্বকের লালাভ
মাটির পাজরে পেতে দেবে সিলিকন সজ্জা।
তোমার গ্রহে একদিন আড্ডার তুমুল বৈভবে
সবুজ এলিয়েন, অফুরন্ত রেডিয়াম জ্বেলে দিয়ে যাবে।
টেনিসকোর্টে যেদিন আগুন-বলে রাগবি খেলার আমন্ত্রণ থাকবে
সেদিন রোদসীর হাতে এক সিলিন্ডার চূর্ণ কাচের পানীয় দিয়ে
মাঠে নেমে যাবে তার ম্যাগনেটিক ঘোড়ার দল।
হকিন্স নক্ষত্রের তথ্য যেমন ঘটনা-দিগন্তে আটকে থাকে
ঠিক তেমনি রেডস্টোনের গায়ে লেখা থাকবে
মঙ্গলীয় উল্কা দিয়ে খোদাই মুখ। হাজার বছর পর
সেইসব শ্রীমুখ হয়ে উঠবে এক একটি নীলাভ অলিম্পাস মঞ্চ।
শরত এবং পাঁচতলা জাহাজ
ব্ল্যাক ফরেস্টের মোহ কাটিয়ে উড়ে আসে হেমবিলাসী পাখি, পাতা
ঝরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিলাষী রঙিন সন্ধ্যা। সীমাতিক্রান্ত
রক্তবেগুনী পথ শুয়ে থাকে চকচকে জলকণা মেখে। তখন মনে
পড়ে ন্যাড়া ম্যাপলের গায়ে লেখা আগামি বর্ষার নেমন্তন্নপত্র।
অলক্ষ্যে ভেসে ওঠে, এক পাঁচতলা জাহাজ আগুন লাগিয়ে দিলো
পাতায় পাতায়। সেই থেকে বৃক্ষের পাতারা বছরে একবার করে
রঙ পাল্টায়। অন্তর্লীন ক্ষত যেমন অপেক্ষার প্লাবন মেখে দাঁড়ায়
ঠিক প্রত্যাশিত শুভ্রভোরের জন্য অতিথিরা বৌমুনিয়া বা ওয়াটার
রেইল-এ ব্যস্ত হয়, এ শৈত মায়া পেরিয়ে আবার লাইলাক
রাজ্যপুরের জন্য লিখে রাখে ফেরার সূচিপর্ব। রুডি শেলডাকের
চোখে ম্লানালোর ওপাশে ঘরমুখো গ্যালাক্সি নেমেছে, হয়তো ফের
দেখা হবে ওমের ঘরদোর। ঈশপের সেই হোয়াইট স্টর্ক ফিরবে
বলে গুটিয়েছে পাখার আড়ালে জমানো টুকরো কবোষ্ণ।
ইউরাশিয়ান কার্লিউকে আদর করে ডাকি বড় গুলিন্দা, ফিরো তবে,
ফেরার বাঁকে জাহাঙ্গীরনগরের হ্রদে। হেমবেলান্তের নৈশ ট্রেন
তাড়াহুড়ো করে ফেলে যায় বিষাদবৃক্ষমেঘ, তখন হৈমন্তিক অলস
মাঠ থেকে হার্বেস্টারের গুঞ্জন নিয়ে ফিরে যায় স্টারলিং। তবু
শরতের অপরূপ জলসায় জলজ মেঘ আসুক এই পথে। এ পথেই
রেখে যাক শখের বালা নীলোতপলা পায়ের চিহ্ন।
লন্ডন
রফিকুজ্জামান রণি
ক্ষুৎপিপাসা
নিদেন পক্ষে ওই সূর্যটা আমার চাই—
এই ক্ষুৎপিপাসায় সমুদ্র আরো
তৃষ্ণালু হয়ে উঠেছে,
আর তাই
খেতে চাই সূর্যের ক্ষীর—
নক্ষত্রের তরল দুধই আমার তৃষ্ণা মেটাবে।
কম্পাসবিহীন রাতের কাছে হাত পেতে কী লাভ?
তার গায়েও যে শিখণ্ডী কামিজ।
পাললিক শূন্যতা যদি আমার দিকে ঠেলে দেয়
এক প্লেট আগুনের পায়েস—
আমি তা আয়েশ করে খাবো!
আসন্ন প্রসবা কুকুর এবং
আসন্ন প্রসবা কুকুরটি কঁকিয়ে উঠলে
আমাদের মহল্লায় রাত নামে
নির্জীব তাকিয়ে থাকে কাফন-রঙা চাঁদ
শৈশবে পয়সা হারানোর দুঃখ
প্রত্যাখ্যাত প্রেমকষ্ট
যৌবনে লাবণ্য খোয়ানোর আক্ষেপ
বার বার
ধ্বনিত হয় কুকুরের আর্তনাদে . . .
কঁকিয়ে ওঠে একটি মানুষ
কঁকিয়ে ওঠে একটি মহল্লা
কঁকিয়ে ওঠে একটি রাত
একটি রাষ্ট্র, মহাপৃথিবী
শুধু নির্জীব তাকিয়ে থাকে চাঁদ
তারকা, পাহারা দেয় লক্ষ কোটি
কেউ এগোতে পারে না
দূর কক্ষপথে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে
কেউই জানে না
একটি কুকুরের চিৎকারেও একদিন
ভেঙেচুরে ছত্রখান হয়ে যেতে পারে
অগণন নক্ষত্রবীথি, ছায়াপথ কিংবা সৌরবিশ্ব
এক লহমায় ধূলিস্মাৎ হয়ে যেতে পারে
কেবল একটি কুকুরের চিৎকারে...
আসন্ন প্রসবা প্রাণীর সুতীব্র আর্তনাদ
ক্ষয়, লয় এবং সৃষ্টির উন্মাদনা জড়িয়ে রাখে!
চাঁদপুর
Find us on Facebook
|
|
Printed Version
পত্রিকার মুদ্রিত কপি
Contents:
Polish Poetry
Poetry in English 1
Poetry Translated from Other Languages
Poetry Bengali to English
Poetry in Bengali
Editor's Journal
Short Review
Shabda News
To the Editor
Contributors' Bio
শব্দগুচ্ছর এই সংখ্যাটির মুদ্রিত সংস্করণ ডাকযোগে পেতে হলে
অনুগ্রহপূর্বক নিচে ক্লিক করে ওয়ার্ডার করুন।
To order for the hardcopy of this issue, please
click on the following link:
Get a Hardcopy
|
|