|
Contributors:
Poets and Translators:
Poets and Translations
Alicia Ostriker, Álvaro Mata Guillé, Amir Or,
Baitullah Quaderee, Bill Wolak, Bishnupada Ray,
Carolyne Wright, Daniela Negrete, Ekok Soubir,
Hassanal Abdullah, Helena Berg, Jaehyung Park, Joan Digby, Jyotirmoy Datta, Kabir Chowdhury,
Kalina Izabela Zioła, Maid Corbic, Maria Mistrioti, Mohammad Nurul Huda, Peter Cole, Slava Konoval, Stanley H. Barkan, and Sungrye Han
Poetry in Bengali
Prabir Das, Naznin Seamon, Ahana Biswas,
Tareq Mahmud, Shourav Sikder, Al Imran Siddiqui,
Farhan Ishraq, Chandan Das, Laila Farzina, and Al Noman
Letters to the Editor
Teodozia Zarivna, Kalina Izabela Zioła,
Majed Mahtab, and Ehsanul Habib
Cover Art:Jacek Wysocki
Jacek Wysocki
Logo:
Najib Tareque
|
|
Celebrating 24 Years of Publication
প্রকাশনার চব্বিশ বছর
Cover Art: Jacek Wysocki
সম্পাদকের জার্নাল/ Editor's Journal
১. মানুষের সব স্বপ্ন কখনো পূরণ হয় না। আবার কোনো কোনোটা কার্যকর হলেও নতুন স্বপ্ন উদিত হয়। বাংলা কবিতা নিয়ে আমার দু'টি প্রত্যাশা ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে। সম্পাদনা করেছি “বিশশতকের বাংলা কবিতা” (মাওলা ব্রাদার্স, ২০১৫), আর অনুবাদ করেছি “কনটেম্পোরারি বাংলাদেশী পোয়েট্রি” (সিসিসি ও ফেরাল প্রেস, ২০১৯)! এ দু’টি সংকলনের সমপর্যায়ের বই এর আগে বা পরে আমার চোখে পড়েনি। তবে, এই বই দুটো নিয়ে ব্যাপক হারে লেখালেখি বা হইচই হয়নি, এমনকি দেশের বাইরে হলেও বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কোনো আলোচনাও বেরোয়নি । এর নানাবিধ কারণের একটি হলো আমি এই কাজ করতে গিয়ে তোষামোদ বা বন্ধুর মুখ রক্ষার চেষ্টা করিনি। আর আমি তো আদতে কোনো ব্যক্তি-কবিকে আলাদা ভাবে অনুবাদ করিনি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে দুই মলাটে তুলে ধরেছি, যা বিশ্বের নানা দেশের গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরিতে স্থান পেয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পড়ছে। যাহোক, সে অন্য কথা। আমার আরেকটি স্বপ্ন আছে, অবশ্য স্বপ্নটি বেশ পুরোনো এবং আইডিয়াটি প্রায় বিশ বছর আগে এক মার্কিন প্রকাশক আমাকে দিয়েছিলেন। সেটি হলো বাংলা ভাষার প্রতিনিধিত্বশীল কবিদের কবিতা দিয়ে ইংরেজিতে একটি বৃহৎ সংকলন প্রকাশ। এর বিস্তারিত এখানে না বলে শুধু বন্ধুদের জানিয়ে রাখি কাজটি আমি অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি। এখন পশ্চিমের বড়ো কোনো প্রকাশক পাওয়ার অপেক্ষায়।
২. একটা কবিতা অনুবাদের জন্যে আমাকে ১৬০ মাইল গাড়ি চালাতে হলো। আশি মাইল দূরে জ্যোতির্ময় দত্তের বাসা। তিনি বললেন, “চলে এসো।” আমিও মনের সুখে গাড়ি ছোটালাম। সম্প্রতি তাঁর চোখে সমস্যা হওয়ায় পড়তে বা লিখতে পারেন না। কিন্তু তিনিই বললেন, “চলো তোমার কিছু কবিতা আমি অনুবাদ করি।” আমিও এই অসামান্য অনুবাদকের প্রস্তাব লুফে নিলাম। আমি কবিতাটি কয়েকবার পড়ে শোনানোর পর তিনি অনুবাদ শুরু করেন। আমি ল্যাপটপে লাইন টুকে নিয়ে বাংলায় পরের লাইন পড়ি, আবার তিনি সেটা অনুবাদ করেন। এভাবে চলে আমাদের কাজ। কিন্তু ওই দিন ‘এবং ও অথবা’ নামের এই কবিতাটি অনুবাদের পর জ্যোতিদার ভীষণ মাথা ব্যথা শুরু হয়। ফলে কাজ বাদ দিয়ে আমরা বাইরে গিয়ে বসি। রাতের খাবার খেয়ে আমি বাসায় ফিরি ওই একটি অনুবাদ নিয়ে। কী অসামান্য সেই অনুবাদ! আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। মনে হতে থাকে ১৬০ মাইল গাড়ি চালানো কোনো ব্যাপারই না।
জ্যোতিদা যখন বলেন তিনি আমার কবিতা অনুবাদ করবেন, আমি বলি তিনি যেনো বরং তিরিশজন বাঙালি কবির তিরিশটি কবিতা অনুবাদ করেন, যা দিয়ে একটি ভালো বই হয়ে যাবে। তিনি আমার কথাকে গুরুত্ব দেন, কিন্তু শর্ত দেন যে কবিতাগুলো যেনো আমি বেছে দেই। শুধু বেছে দেওয়া নয়, একই ভাবে অনুবাদের জন্যে বার বার আমাকে তাঁর কাছে যেতে হবে। কাজটি তিনি করবেন, যদিও আমাকেই তার অনুবাদ ল্যাপটপে তুলতে হবে। আবার সমস্যাও আছে। তিনি সারাজীবন নানা কাজে ব্যস্ত থেকেছেন, কিন্তু কোনো কাজেই স্থায়ী হননি। একবার কোনো কাজ মাথায় ঢুকলে তিনি দিনরাত সেটা নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকবেন, যদিও নতুন ধারণা বা নতুন কোনো বিষয় মাথায় এলে সেটি আঁকড়ে ধরতে তাঁর এক মুহূর্তও সময় লাগবে না। যেটা করছিলেন তা বেমালুম ভুলে নতুন এডভেঞ্চারে একাগ্র হয়ে যাবেন। ফলে, একটি প্রজেক্ট শুরু করে দশটি কবিতা অনুবাদের পর তিনি যদি অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করেন, পুরো বইয়ের সম্ভাবনাই শুধু নয় আমার নিজের কষ্টটিও বিফলে যাবে। তাই আমি মনে করি যে তিনি যদি আমার মাত্র কয়েকটি কবিতাও অনুবাদ করেন, অন্য অনুবাদের সাথে আমি সেগুলো জুড়ে দিয়ে একটি বই করে ফেলতে পারবো। এর আগেও তিনি মহা উৎসাহে আমার মহাকাব্য ‘নক্ষত্র ও মানুষের প্রচ্ছদ’ অনুবাদে হাত দিয়েছিলেন, কিন্তু চারটি এপিসোড অনুবাদের পর তিনি অন্য কাজে আটকে গিয়েছিলেন। ফলে আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে ঝালাই করে আমি জ্যোতিদার আদি প্রস্তাবেই যুক্ত থাকি, এবং দু’সপ্তাহ পর আবার তাঁর নিউজার্সির হিল্সবোরোর বাড়িতে হাজির হই। এদিন জ্যোতিদা ও মীনাক্ষীদি আমাকে নিয়ে যান তাঁদের এক মার্কিন প্রতিবেশির বাড়ি। দুপুরটা সেই বাড়িতে বসে একটু ভিন্ন পরিবেশে চা ও গল্পের ভেতর দিয়ে কাটে। জ্যোতিদা এমনিতে নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারলেও তাঁর নিকট-দৃষ্টি এতোই ক্ষীণ হয়ে উঠেছে যে পড়া বা লেখার কাজ অন্য কাউকে দিয়ে চালাতে হয়। প্রতিবেশির বাড়ি থেকে ফিরে আমরা আবার অনুবাদ নিয়ে বসি।
৩. বছরের প্রথমেই সুখবরটি হাতে এলো; আমার পঞ্চাশতম বই। বয়সের পঞ্চাশ পেরিয়েছি কয়েক বছর আগেই। এবার বইয়ের পঞ্চাশ। আমার কবিতার চতুর্থ ইংরেজি অনুবাদ গ্রন্থ, ‘টেনশন ইন এনট্যাঙ্গেলড কাইটস।’ প্রকাশ করলো লং আইল্যান্ডের নিউ ফেরাল প্রেস। প্রচ্ছদ-আর্ট ভারতের বিখ্যাত চিন্তাবিদ জ্যোতির্ময় দত্ত, আর প্রচ্ছদ করেছেন বাংলাদেশের শিল্পী চারু পিন্টু। ব্যাক কাভারের ছবি: পোলিশ শিল্পী ইয়াসেক ভোজোয়স্কির তোলা। এই বইয়ের কবিতাগুলো অনুবাদ করেছেন জ্যোতির্ময় দত্ত, আমার সন্তান একক সৌবীর ও আমি নিজে। বইটি আমি উৎসর্গ করেছি বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রকাশক মনিরুল হক ভাইকে। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি আমার বই প্রকাশ করছেন। প্রকাশ করছেন বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিতাবলি। তাঁর মতো একজন প্রকাশক পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত ও গর্বিত। ৬৪ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থের মূল্য রাখা হয়েছে ১৫ ডলার। অচিরেই অ্যামাজন ডট কম-এ পাওয়া যায়।
৪. সাড়ে পাঁচশ’ পৃষ্ঠার যে কোনো বই পড়া দুরূহ ব্যাপার, সময় সাপেক্ষ। আর সে বইয়ের যদি প্র“ফ দেখতে হয় তা হলে সেই শ্রম গভীর মনোযোগ দাবী করে। আমার 'কবিতাসমগ্র' প্রথম খণ্ড অনন্যা থেকে প্রকাশ পেয়েছিলো ২০১৯ সালে। মাত্র পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ সংযোজিত হয়েছিলো। পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিলো ৫৬০। তিন বছর পর ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশ পেতে যাচ্ছে একই প্রকাশনী থেকে 'কবিতাসমগ্র' দ্বিতীয় খণ্ড। এ বইয়েরও পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৬০। স্থান পাচ্ছে সাতটি কাব্যগ্রন্থ, চারটি ছড়াগ্রন্থ, ও একটি বিশ্ব কবিতার অনুবাদ। চলছে দিনরাত খেয়ে না-খেয়ে প্র“ফ দেখা। ক'দিন আগে একজন তরুণ কবি আমাকে লিখেছিলেন 'কবিতাসমগ্র' দ্বিতীয় খণ্ডের জন্যে তিনি তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় আছেন। তার জন্যে অবশ্যই এটা একটি সুখবর। সুখবর আমার জন্যে তো বটেই।
৫. অনেক দিন পর কবিতা পড়তে গিয়েছিলাম গ্রীনিজ ভিলেজে, ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় 'ফিনিক্স রিডিং সিরিজ'-এ ফিচার পোয়েট বা আসরের কবি হয়ে। এই সিরিজটির প্রতিষ্ঠাতা কবি মাইকেল গ্রেভস। পনেরো বছর ধরে তিনি এটা চালিয়ে যাচ্ছেন। মজার ব্যাপার হলো, একই দিনে এই অনুষ্ঠানের আগে হারলেমের ১৩৯তম স্ট্রীটে ছিলো শিক্ষকদের ডিনার পার্টি। সেখানে হঠাৎ করেই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল অনুরোধ করলেন আমাকে একটি কবিতা পড়ে শোনাতে। তিনি আমাকে আলাদা ভাবে পরিচয়ও করিয়ে দিলেন। আমি পড়লাম ‘স্বতন্ত্র সনেট ৭৭’! শিক্ষকদের হাসি, আনন্দ ও মুহুর্মুহু হাততালির ভেতরে আমাকে দু’বার থামতে হলো। কবিতা শেষ হলে বেশ ক’জন আমার সাথে হাত মেলালেন। সেটা ছিলো অবশ্যই অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আর ভিলেজে কবিতা পাঠের আসরে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন ম্যানহাটন শহরের আগের টার্মের পোয়েট লরিয়েট কবি ভিভিয়ানা ডানকিন। একে একে আমি অনেকগুলো কবিতা পড়লাম। ফিচার পোয়েট হিসেবে কবিতা পড়ার একটা বৈশিষ্ট্য হলো দীর্ঘক্ষণ কবিতা পড়া যায়। পড়ে এক ধরনের তৃপ্তি পাওয়া যায়। এই শহরে বিশ বছরের উপরে আমি ফিচার পোয়েট হিসেবে কবিতা পড়লেও, একই দিনে শহরের দুই প্রান্তে দু’টি অনুষ্ঠানে কবিতা পড়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম।
৬. আজ হঠাৎ করেই ট্রেনে ২৪/২৫ বছরের এক যুবক স্যুট-কোট পরে ঢুকলেন। ট্রেন চলতে শুরু করলে আমার ডান দিকে কয়েক কাতার পেরিয়ে এক ভদ্রমহিলার সাথে কথা বলতে দেখে আমি কৌতূহলি হয়ে কান রাখলাম। বুঝতে পারলাম ভদ্রমহিলাকে তিনি চার্চে যাবার কথা বলছেন এবং মহিলা বার বার "না" করে যাচ্ছেন। এর পর ভদ্রলোক পাশের আরেক যাত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কি আগামী রবিবারে চার্চে যাবেন?" যাত্রীর সোজাসাপটা উত্তর, "না।" আমি লক্ষ্য করলাম একে একে স্যুট-কোট পরিহিত এই ধর্ম প্রচারক সবাইকে একই কথা জিজ্ঞেস করছেন, এবং প্রত্যেকেই "না" সূচক উত্তর দিচ্ছেন। আমার ঠিক সামনে দাঁড়ানো যাত্রী "না" বলার পরেও তাকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, "আপনি কি নিশ্চিত!" যাত্রীটি বেশ জোরেশোরে বললেন, "এতে কোনো সন্দেহ নেই।" আমাকে এই ধর্ম প্রচারক কোনো প্রশ্ন করলেন না। হয়তো আমার চেহারা দেখে তার মনে হয়েছে যে আমি কোনো ধর্মালয়গামী লোক নই। এই ভাবে প্রশ্ন করতে করতে প্রচারক আমার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে অগ্রসর হতে থাকলেন। আমার আশেপাশে আমি গুণে দেখলাম তিনি মোট দশজনকে প্রশ্ন করেছেন। নয়জনই "না" বলেছেন, শুধু একজন বললেন, "আমি ইতিমধ্যেই চার্চে গেছি।" মানে দাঁড়িলো এখন সমাজের নব্বই শতাংশ মানুষ ধর্ম বিমুখ। অতএব ধর্ম ব্যাবসায়িদের দিন শেষ হয়ে আসছে। পরিসংখ্যান বলছে এই মুহূর্তে পৃথিবীর বিশ শতাংশ মানুষ নাস্তিক এবং প্রতিবছর এই সংখ্যাটি তিন শতাংশ করে বাড়ছে। ফলত, বিশ্বর দেশে দেশে যারা ধর্মের নামে হত্যার রাজনীতি করছে তাদের সম্মিলিত ভাবে নতুন করে চিন্তা করার সময় এসে গেছে বলেই মনে হয় ।
৭. আমার বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। তবে একাত্তরে তাঁর মৃত্যুর পর মা কৃষিকাজ করেছেন আমাদের বাঁচানো ও লেখাপড়া করানোর জন্যে। না, সরাসরি জমিতে গিয়ে তিনি কাজ করেননি। তবে মামাদের ক্ষেতের ফসল বাড়িতে আসলে এর মাড়াই করা থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কাজই আমার মাকে করতে হয়েছে। তখন এমনকি কখনো কখনো চব্বিশ ঘণ্টাই তিনি খেটেছেন। পাড়া প্রতিবেশীকে বলতে শুনেছি, "ওর মা একা দশজন কামলার কাজ করতে পারে।" সাথে সাথে বাহির বাড়িতে নানা রকম সব্জির চাষ তিনি নিজে করতেন। নিউইয়র্কে আমি বাড়ি কেনার পর থেকে গত বিশ বছর ধরেই বাড়ির পিছনে এমন কোনো সব্জি নেই যে তিনি চাষ করেননি। আমার ধারণা তিনি শুধু হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিলে তরতর করে সব্জি গাছ বেড়ে ওঠে। এই সব গাছই হয় টবে। এখানে নানা জাতের কচু, পাট, মরিচ, বেগুন, শশা, লাউ, কুমড়ো, আনাজ, দু’প্রকার শিম, টমেটো, ধনেপাতা সহ আরো কতো কি যে তিনি ফলান তার ইয়ত্তা নেই। এবছর ক'দিন আগে তিনি দেশে বেড়াতে গেলেও তাঁর সব্জি বাগান ফুলে ফলে ভরে উঠেছে।
৮. ১২ আগস্ট ড. হুমায়ুন আজাদকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মিউনিখ ইউনিভার্সিটিতে তাঁর কক্ষে। সেদিন তাঁকে সেখানে মৌলবাদী গোষ্ঠী সুকৌশলে হত্যা করেছিলো। এর আগে ঢাকায় তাঁকে ওই গোষ্ঠী মারাত্মক ভাবে ছুরিকাহত করে। বেশ কিছুদিন দেশে বিদেশে চিকিৎসা করা হলেও ছুরির কোপে তাঁর চোয়াল বাঁকা হয়ে গিয়েছিলো। খেতে ও কথা বলতে কষ্ট হতো। ঠিক সেই ১২ আগষ্ট নিউইয়র্কে ঘটলো আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা। সালমান রুশদীকে মঞ্চে বক্তৃতা করার সময়, একই উপায়ে, মারাত্মক ভাবে ছুরিকাহত করা হলো। জানা যায় তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাতের টিস্যু ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ও পাকস্থলীতে জখম নিয়ে তিনি এখন ভেন্টিলেটরে আছেন। পশ্চিমও কি তাহলে ধর্মান্ধদের আবাস স্থল হয়ে উঠেছে? রুশদীর উপর হামলার নিন্দা করছি ও তাঁর সুস্থতা কামনা করছি। ...বছর দশেক আগে রুশদীর একটি বক্তৃতা শোনার পর তাঁর সাথে আমার আলাপের সুযোগ হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন সিকিউরিটির কারণে তিনি খুব একটা বাইরে যান না এবং তাঁর হয়ে সব যোগাযোগ করে পাবলিশিং এজেন্ট। ভাবতে অবাক লাগছে বক্তৃতার সময় মঞ্চে একজন ছুরি নিয়ে উঠে যাবার সুযোগ কিভাবে পায়!
—হাসানআল আব্দুল্লাহ
Find us on Facebook
|
|
|
Printed Version
পত্রিকার মুদ্রিত কপি
Contents:
Poetry in English 1
Poetry in English 2
Poetry Translated from Other Languages 1
Poetry Translated from Other Languages 2
Poetry: Bengali to English
Poetry in Bengali
Editor's Journal
Shabda News
To the Editor
শব্দগুচ্ছর এই সংখ্যাটির মুদ্রিত সংস্করণ ডাকযোগে পেতে হলে
অনুগ্রহপূর্বক নিচে ক্লিক করে ওয়ার্ডার করুন।
To order for the hardcopy of this issue, please
click on the following link:
Get a Hardcopy
|
|