Shabdaguchha: Logo_new edited by: Hassanal Abdullah issue: 71/72




Contributors:


Poets and Translators:


Dariusz Thomasz Lebioda
Nino Provenzano Fuad Atal
Peter Thabit Jones
Joan Digby
Kristine Doll
John Digby
Carolyn Mary Kleefeld
Richard Jeffrey Newman
Bishnupada Ray
Dileep Jhaveri
J. Scotte Barkan
Shokrana Sarkar
Rachel Mejia
Baitullah Quaderee
Motin Raihan
Dilara Hafiz
Anisur Rahman Apu
Roni Adhikari
Jasim Uddin Tutul
Hassanal Abdullah


A Tribute To


Shaheed Quaderi (1942-2016)
Syed Shamsul Huq (1935-2016)
Rafiq Azad (1943-2016)


Book Review


Nicholas Birns


Letters to the Editor


Stanley H. Barkan
Nirmalendu Goon
Belal Beg
Tomasz Marek Sobieraj
Naznin Seamon
Bishnupada Ray
Sk Kamrul Hashan
Hasan Ali
Firoz Ashraf
Ariful Islam
Shahab Ahmed Taher Ahmed Razu Rahul Roychowdhury Momin Mahadi Khondkar Khosru Parvez Roni Adhikari


Cover Art:

Al Noman


New Logo:

Najib Tareque




A tribute to the Bengali poets we recently lost:

Shaheed Quaderi (1942-2016)
Syed Shamsul Huq (1935-2016)
Rafiq Azad (1943-2016)



Shaheed Quaderi
(1942 – 2016)

THE SHINING PROSTITUTES
In some secret corners of the city, the sickening roses of love—
cool, black, amid the aroma of dirt,
the sleepless, distracted nymphs of a virgin garden,
You, my dearest night-sun,
are the sudden stimulation of ruthless men.
When every street is blocked,
doors of relatives and restaurants are closed,
illuminating the horizon you wave your flags—your only blouse.
The unusual attraction vibrates like a morning call.

In the dank house of prayer, you unfold your jainamaj,
the dry quilt, the bed, and the happiness of woolen warmth.
Bring back teenaged pleasure through hugs and kisses,
people, distorted, deprived, broken limbs,
and the ones who have lost parental love—
fighting for their pungent existence in muddy water and storm,
are tenderly nursed by your dying breasts.

For moments, I, too, am the tacky king of this false paradise.
Nothing is worthy as what you offer for just a little change.
You are the shining bride of unhealthy time,
spread the scent of life to the vagabonds.
To me, ethics has no worth
but to praise you from the bottom of my heart.


Jainamaj: The mat on which a Muslim pray.

Translated from the Bengali by Hassanal Abdullah

---

Rafiq Azad
(1943 - 2016)

YOU: TWENTY YEARS BEFORE AND NOW

You used to misuse the language terribly. You had a suburban accent, and you mispronounced many words. You used to say "Prothom Chudhuri" instead of "Promotho Chudhuri," and "expat" while you meant "expert." Your personal life was occupied with so many chilly mistakes like this. But at that time, so many years ago, in the beginning of our teenage years, I happened to love it very much.

You used to mix both elegant and colloquial forms of the language in your exams. You were very absent minded in the use of language. You were a shy and face-down- unapproachable girl. "Sudden" was the word you used for "saddened." I rather fell in love with the misplacing and mispronouncing of words in your speech.

I heard your public address after twenty years. The topic: Freedom of Women. It was so neat and so accurate in pronouncing words that I simultaneously became surprised and saddened! A knot in my heart was silently cleared up after twenty years.

Translated from the Bengali by Hassanal Abdullah

---

সৈয়দ হক: বেঁচে থাকবেন

ক্যারিবিয়ান দ্বীপের কবি ডেরেক ওয়ালকটের বিশ্বজয়ী মহাকাব্য ‘ওমারস’ পড়ে এতোটাই মজে গিয়েছিলাম যে মনে হচ্ছিলো বাংলা ভাষার বড়ো কবিরা এমন কাজ করছেন না কেনো। ইতিমধ্যে সৈয়দ শামসুল হক ১৯৯৩ সালে নিউইয়র্কে বেড়াতে এলে তাঁকে প্রশ্ন করে বসি, বাঙালী কবিরা কি এমন কিছু করবেন বলে ভাবেছন! তিনি কোনো ভণিতা ছাড়াই সরাসরি উত্তর দিলেন, তুমিও তো কবি, যদি মনে করো এমন কিছু করা দরকার, কাজে লেগে যাও। বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবলাম, হক ভাইতো ঠিকই বলেছেন, আমিও তো কাজে হাত দিয়ে দেখতে পারি! এর পরের কাহিনী অন্যরকম। পরবর্তী ১২ বছর আমার কেটেছিলো ‘নক্ষত্র ও মানুষের প্রচ্ছদ’ লিখতে। ২০০৭ সালে অনন্যা প্রকাশনীর কল্যাণে বইটি আলোর মুখ দেখলে হক ভাইকেও মেলায় এককপি দিলাম। বলা যায়, এই বই লিখতে সৈয়দ হক আমাকে উস্কে না দিলে হয়তো কাজটি আমার কখনোই করা হতো না। কিন্তু এর মাঝে সময়ও গড়িয়েছে অনেক। একথাও সত্য যে পঞ্চাশ ও ষাট দশকের অন্যান্য কবি যেমন, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী, হুমায়ুন আজাদ, রফিক আজাদ ও নির্মলেন্দু গুণ, এঁদের যতোটা সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছে, সৈয়দ হকের অতোটা কাছাকাছি কখনোই আসতে পারিনি। ২০০৮ সালে আমার অনুবাদে ‘শব্দগুচ্ছ’র বিশেষ সংখ্যা ‘পোয়েটস অব বাংলাদেশ’ বেরুলে আমি এক কপি দেবার জন্যে সৈয়দ হকের গুলশানের বাসায় যাই। দারোয়ান নাম শুনে অপেক্ষা করতে বলেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে এসে পথ দেখিয়ে বাইরের ঘরে নিয়ে যান। দিনের বেলায়ও তখন অসংখ্য মশা আমাকে যন্ত্রণা দিতে থাকে। আমি হাত দিয়ে যতোটা পারি সামলানোর চেষ্টা করি। প্রায় দশ মিনিট পরে সৈয়দ হক আসেন এবং তাঁর জন্যে নির্ধারিত সোফায় বসেন। আমি পত্রিকাটি তাঁর হাতে তুলে দেবার আধা মিনিটের মধ্যে তিনি বলে ওঠেন, আজ আমার একটু তাড়া আছে। আমি বলি, এতোদূর থেকে পত্রিকাটি বয়ে আনলাম, আপনার কবিতার অনুবাদ খুলেও দেখবেন না! তিনি পাতা উল্টাতে উল্টাতে বললেন, শহীদ কাদরীকে নিয়ে তোমরা এই সময়ের কবিরা যা ভাবো আসলে তা তিনি নন। আমি অবাক হয়ে তাঁর দিকে তাকালাম। তিনি আবারও বললেন, আমার একটু তাড়া আছে। আমি হাত দিয়ে মশাগুলো পুনরায় সরিয়ে উঠে পড়লাম। মনে মনে ভাবলাম, শহীদ কাদরীকে নিয়ে যে গ্রন্থ আমি রচনা করেছি এই অপমান তারই প্রতিফলন। তবে তিনি কিছুটা হলেও সৌজন্যতা রক্ষা করলেন, দরজা পেরিয়ে সামান্য হেঁটে আসলেন আমার সাথে। কিন্তু আমি কিছু একটা জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি আবারো জানালেন যে তাঁর তাড়া আছে। আমি বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। আমার শরীরের রক্তকণা টগবগ করে ফুটতে লাগলো, কারণ আমি তো এপয়েন্টমেন্ট করেই গিয়েছিলাম। তাঁর এমন আচরণ মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। পরদিন আমার নিউইয়র্কে ফিরে আসার কথা। এয়ারপোর্টে পৌঁছে হাতে যে সময় পাওয়া গেলো সেটুকু কাজে লাগানোর জন্যে ইমেল চেক করতে বসে গেলাম। চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না সৈয়দ হকের বেশ বড়োসড়ো একটি ইমেল বার্তা পেয়ে। তিনি আগের দিনের আচরণের জন্যে ক্ষমা চেয়েছেন, ‘শব্দগুচ্ছ’র প্রশংসা করে পত্রিকাটি নিয়মিত পড়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন। আমি নিউইয়র্কে ফিরে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে উত্তর পাঠালাম। এই ঘটনার কিছুদিন পরে হক ভাইয়ের ফোন পেলাম লন্ডন থেকে। বিভিন্ন বিষয়ে অনেকক্ষণ কথা হলো তাঁর সাথে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম যে তিনি তখনও নিশ্চিত হতে পারেননি আমি তাঁর করা সেই অপমানের কথা ভুলতে পেরেছি কিনা। বছরখানেক পরে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছিলেন অন্য কাজে। সেখান থেকেও আমাকে ফোন করলেন। প্রসংঙ্গক্রমে ‘নক্ষত্র ও মানুষের প্রচ্ছদ’ পড়ার অভিজ্ঞতার কথা বলে আমাকে অভিনন্দনও জানালেন। সেই থেকে হক ভাইকে আমি প্রায় নিয়মিত ‘শব্দগুচ্ছ’ পাঠিয়েছি। মাঝে কখনো পেতে দেরী হলে তিনি ইমেল করেছেন। ঢাকায় কখনো আমার বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে, কখনো ‘শব্দগুচ্ছ’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আমাকে সম্মানিত করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর গুলশানের বাড়িতে আর কখনোই আমার যাওয়া হয়নি।
২.
সৈয়দ শামসুল হক বাংলাদেশে সব্যসাচী লেখক হিসেবে পরিচিত। সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তিনি বিচরণ করেছেন। এটি একজন লেখকের বড়ো মাপের অর্জনই বলা যায়। তবে মঞ্চ নাটকে যে উৎকর্ষ এসেছে, কিম্বা নিজস্ব যে রূপ নিয়ে চূড়া স্পর্শ করেছেন, সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় তা তিনি করতে পারেননি। প্রায়ই আমার মনে হয় বাংলাদেশের লেখকেরা উপন্যাসের আঙ্গিকটি আজ পর্যন্ত ধরতে পারেননি। ফলত, হাতে গোণা কয়েকটি বিশ্বমাপের উপন্যাস, যেমন ‘খোয়াবনামা’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ ও ‘শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার’ ইত্যাদি ছাড়া সাতচল্লিশোত্তর বাংলা সাহিত্যের এই শাখাটি বেশ দরিদ্রই রয়ে গেছে। সৈয়দ হকের ‘খেলারাম খেলে যা’ পাঠযোগ্য উপন্যাসের তালিকায় উঠে আসলেও, ব্যাপ্তি ও বুননে চূড়াস্পর্শী হয়ে উঠতে পারেনি। তাঁর কিছু কবিতা, কিছু গল্প আমাদের আন্দোলিত করবে তাও ঠিক, কিন্তু সমগ্র পাঠে একটি অতৃপ্তি থেকেই যাবে বলে ধারণা করি। তবে বাংলা নাটকে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল, তাঁর নির্মাণশৈলী নিয়ে কথা বলবে নতুন প্রজন্ম।

৩.
২০১৬ সম্ভবত হারানোর দিক দিয়ে ষোল কলা পূর্ণ করে দিলো। রফিক আজাদ, শহীদ কাদরী ও সৈয়দ শামসুল হক। আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের এই শক্তিশালী কণ্ঠগুলো মাত্র ক’দিনের মধ্যে ঝরে গেলো। বাংলাদেশের জন্যে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।

—হাসানআল আব্দুল্লাহ












Find us on Facebook



Printed Version
পত্রিকার মুদ্রিত কপি



Contents:


A Tribute to

Poetry in Translation

Poetry in English

Poetry in Bengali

Poetry Dedicated to Stanley H Barkan

Book Review

Shabda News

Letters to the Editor







শব্দগুচ্ছর এই সংখ্যাটির মুদ্রিত সংস্করণ ডাকযোগে পেতে হলে অনুগ্রহপূর্বক নিচে ক্লিক করে ওয়ার্ডার করুন।

To order for the hardcopy of this issue, please click on the following link:

Get a Hardcopy

Back to Issue 71_72
Back to Front Page Send Your Feedback
Shabdaguchha, an International Bilingual Poetry Magazine, edited by Hassanal Abdullah