Sabyasachi Hazra Naznin Seamon Mansur Aziz Rasel Ahmed Shekhor Seraj Back to Issue 47_48 Back to Front Page |
Issue 47/48 : January - June 2010 : Volume 12 No 3/4
মৃগীরোগিনী এখানে শুইয়ে দিয়ে ছিলো মেয়েটিকে; তার আচম্বিত চীৎকারে সতেরো মাইল দূরে যেই বাঘ একটা হরিণকে প্রায় ধরেই ফেলেছিলো— সে ঝিম মেরে বসে রইলো। আশ্চর্য! হরিণটাও ছুটলো না, বাজ-পড়া প্রাণীর মত দাঁড়িয়ে রইলো অবাক স্থবির; অথচ সঙ্গমরত পশুদের আরও আনন্দে কোমর উত্থিত আর পতিত হ’তে লাগলো। আর সে কী হাততালি! এবং হাসি! এবং চীৎকার! রমণীর চীৎকারে তাদের কামনা যেন ঋণ করেছে বাঘের ক্ষুধাকে; পিঠজুড়ে লাল দাগ বেড়ে চলে, পিঠের তলায় কাটা খড়— ধান কাটা হ’য়ে গেছে; অদূরেই নলখাগড়ার ঝোপ। সিগারেটের আগুনে মাংসপোড়া গন্ধ; কতিপয় পশুদের কামনার পারদমিটার ভেঙেচুরে উঠে আসে। নলখাগড়ার ঢালু বনজুড়ে চীৎকারের ছায়া— মধ্যদুপুরে ছায়া নেই; তবু। যোনি আর পায়ুপথ মিশে আরও বড় হয় ক্রমে ক্রমে। বাঘ আর হরিণ পড়ে থাকে লজ্জায়; লজ্জা, লজ্জা! পশুদের আনন্দ বেড়ে চলে— লজ্জা আর ভয়ে যতটুকু পার্থক্য—পশু আর প্রাণীতেও ঠিক ততটুকু। খড় আর নলখাগড়ার বন ক্রমশ মৃগীরোগী হয়ে ওঠে... একাত্তরে সমস্ত বাংলাদেশই মৃগীরোগী ছিলো! কতিপয় রসুন-কোয়ার মত একদল মানুষ; অতীতে; সমভ্যাসের রূপালী সূতোয় বাঁধা কতিপয় তাহাদের হাত; একই ফিনাইলের গন্ধে মাথা ঝিমঝিম; তাহাদের মাঝখানে বিজলির মত একদিন কিংবা অবিকল প্রপাতের মত ঝরেছিল মিছিলের কর্কশ অভিশাপ, যেন ঝাঁক ঝাঁক ডিমঅলা মাকড়সা, কিংবা রূপালী ইলিশ; তারপর ছন্নছাড়া; মিছিলের অভিশাপে ছিঁড়ে গেছে তাহাদের সুতো— আমরাই সেই কতিপয়। ঢাকা |