Sabyasachi Hazra Naznin Seamon Mansur Aziz Rasel Ahmed Shekhor Seraj Back to Issue 47_48 Back to Front Page |
Issue 47/48 : January - June 2010 : Volume 12 No 3/4
দূরত্ব ১. তোমার আমার মধ্যকার দূরত্ব ততখানিই, যতখানি আছে হ্যাঁ এবং না এর মধ্যে ২. বিভেদ বিবাদ বিস্ময় বিপন্ন বিষণœ বিধ্বস্ত যা কিছু উচ্চারণ করি, ভেসে ওঠে কেবল তোমার প্রতিচ্ছবি ৩. বিরামহীন জীবনে একান্ত আকুতি কেবল একবার শুধু একবার নিজস্ব আঙিনার তীব্র জ্যোৎস্নায় ভেঙে ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাওয়ার ৪. অরণ্য কিংবা পাহাড় অথবা সমুদ্র হয়ত নদী কিছু একটা হলেই হলো হেঁটে যাব দৃঢ় পায়ে না ফেরার চিরকুট খামে ভরে ৫. জীবনের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে তপ্ত লাভার মতন ক্রোধ, কষ্ট, ঘৃণা আর অসহ্য দুঃখবোধ বেরোতেই থাকে অদম্য গতিতে অন্তবিহীন নির্লিপ্ততায় একটি বিড়াল ও আমার দুঃখ একটি বিড়াল বসে বসে আমার দুঃখ দেখে পা উঁচিয়ে অথবা মাটিতে মুখ ঠেকিয়ে করুণ চোখে নিয়ত সান্ত্বনা দেয়, অসংখ্য গাছ, গাছের রঙিন সব ফুল, লতাপাতা, পাতা আর লতা, পাখির কিচির মিচির ভরা চতুর্পাশ মেকী সভ্যতা পেছনে হরদম দৌড়ে চলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে। বহুদিন পর বহুদিন পর জ্বলে উঠি আবার পূর্ণাঙ্গ মানুষের মত, জীবন্ত কোষের সম্মিলনেও সুদীর্ঘ সময় মুত্যুর উপত্যকায় নিঃসঙ্গ শীতঘুম শেষে আপাদমস্তক জেগে উঠি অস্থি মজ্জা স্নায়ুতে প্রবল তৃষ্ণা নিয়ে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে ভিজে নিংশেষ হই নিজের ভিতর নিজে, তন্নতন্ন করি যান্ত্রিক ব্যস্ততা; সভ্যতা ভেজে তুলি মুরগীর ডিমের মতন। নিসর্গের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হেঁটে যাই ধীর পায়ে যদি খুঁজে পাই, মরুভূমির মরীচিকায় বারংবার বিভ্রান্ত হই বিধ্বংসী সেই রূপোর কাঠির খোঁজে তারপর প্রলেপ লাগানো কষ্টে হাত দিতে বুঝে যাই হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা হয়ে যাবতীয় দুঃখ আমার শুষে নিচ্ছ সুগভীর যন্ত্রণার নির্জন চাতালে বসে। নিউইয়র্ক |