Back to Issue 47_48 Back to Front Page |
Issue 47/48 : January - June 2010 : Volume 12 No 3/4 শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার ২০০৯ তুলে দেয়া হলো কবি রহমান হেনরীর হাতে ১৬ ফেব্রুয়ারী পাবলিক লাইব্রেরীর সেমিনার কক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তরাধুনিক কবিতায় ৫ম শব্দগুচ্ছ পুরস্কার তুলে দেয়া হলো নব্বই দশকের উজ্জ্বল কবি রহমান হেনরীর হাতে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি সৈয়দ শামসুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন অরুণাভ সরকার ও গোলাম মোর্তোজা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শব্দগুচ্ছ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহ। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদ্বয় পুরস্কার প্রাপ্ত কবিকে আন্তর্জাতিক কবিতা পত্রিকা শব্দগুচ্ছর পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও একটি ক্রেস্ট তুলে দেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লোতিফা কোহিনূর, সৌমিত্র দেব, তারেক মাহমুদ ও খন্দোকার সোহেল। উল্লেখ্য শব্দগুচ্ছ পত্রিকায় প্রকাশিত কবিদের ভেতর থেকে প্রতি দু'বছর পরপর এ পুরস্কার দেয়া হয়। নির্বাচিত কবিতার মোড়ক উন্মোচন হাসানআল আব্দুল্লাহর নির্বাচিত কবিতার মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রবিশঙ্কর মৈত্রী, ড. মহসিন আলী, প্রত্যয় জসীম, সারওয়ারুল ইসলাম, ও এ কে এম মিজানুর রহমান প্রমুখ। সবশেষে নিজের অনুভূতি জানান হাসানআল আব্দুল্লাহ। ১৭ ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নজরুল মঞ্চে এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি সৌমিত্র দেব। পুরো অনুষ্ঠান ভিডিও করে স্বপ্নেরসিঁড়ি ডট কম। উল্লেখ্য গ্রন্থখানা বইমেলায় প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। ২৭২ পৃষ্ঠার এই বইয়ের দাম রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্র“ব এষ। ১৯৯০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত প্রকাশিত কবির ১০টি কাব্যগ্রন্থ থেকে কবি কর্তৃক বাছাইকৃত কবিতা এই সঙ্কলনে স্থান পেয়েছে। বাংলা ক্লাবের বিজয় দিবস উদযাপন ম্যানহাটনের ইউনিয়ন স্কয়ারে অবস্থিত ওয়াশিংটন আরভিং হাইস্কুলের বাংলা ক্লাবের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয় ১৬ ডিসেম্বর, বুধবার। স্কুলের প্রিন্সিপাল, অ্যাসিস্টেন্ট প্রিন্সিপাল, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শতাধিক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি ৩৮তম বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছিলো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নার্গিস বেগম। শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মিস্টার বার্নারডো এসকোনা বলেন, “আমি আশা রাখি আরো বাঙালী ছাত্রছাত্রী ওয়াশিংটন আর্ভিং হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে এই ক্লাবকে শক্তিশালী করে তুলবে।” নানা জাতির সংস্কৃতি জানার জন্যে প্রয়োজনে নতুন ভাষা শেখার উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বিজয় দিবসে সকল বাংলাদেশীকে অভিনন্দন জানান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মিস্টার ক্রুজ, মিস্টার আয়াতুয়া ও মিস্টার বেকটর। স্বাধীনতা যুদ্ধের উপরে হাসানআল আব্দুল্লাহ সম্পাদিত বিশেষ ভিডিও, দ্যা বার্থ অব বাংলাদেশ প্রদর্শনের পর নজরুলের “মমির পুতুল মমির দেশের মেয়ে” গানটির সাথে দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন নার্গিস ও উম্মি। পরে নার্গিস বেগম একটি একক নৃত্যেও সকলের মন জয় করে নেন। কবিতা পড়ে শোনান কবি ও স্কুলের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষিকা নাজনীন সীমন। বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আল আমিনের “নাতি খাতি বেলা গেলো”র সাথে বিভিন্ন ভাষাভাষী ছাত্রছাত্রীর গলা মেলানোর দৃশ্যটি ছিলো একটি অভূতপূর্ব সাফল্য। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ছাত্র, হাসান সারওয়ারের বক্তব্যে পূর্বপুরুষের কৃতকর্মের অনুশোচনার সাথে সাথে ছিলো এগিয়ে যাবার প্রত্যয়। সুদৃশ্য ব্যানার, কাগজ কেটে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরী; বঙ্গবন্ধু, সাত বীরশ্রেষ্ঠ, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, শামসুর রাহমানের ছবি ও কবিতা দিয়ে দেয়ালিকা; এ্যালেন গিন্সবার্গের কবিতা ও জর্জ হ্যারিসনের কনসার্টের পোস্টার ইত্যাদির ভেতর দিয়ে স্বদেশের গৌরবগাথা তুলে ধরেন ক্লাবের বাঙালী ছাত্রছাত্রীরা। সব শেষে কেক ও দেশীয় খাবারে উপস্থিত সবাইকে আপ্যায়ন ছিলো বাঙালী হৃদ্যতার প্রতীক। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ক্লাবের এডভাইজর মিস্টার আব্দুল্লাহ; তাঁকে সহযোগিতা করেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নার্গীস বেগম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, আবুল খায়ের, মিসবাহ উদ্দীন, আখতারুন ভূঁইয়া, সাতমান রহমান, ইসরাত জাহান, উম্মি ফারহানা প্রমুখ। ওয়াশিংটন আরভিং হাইস্কুলে বাংলা বর্ষ বরণ ১৪ এপ্রিল, ২০১০ ওয়াশিংটন আরভিং হাইস্কুলে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে স্কুলের বাংলা ক্লাব এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট লেখক বেলাল বেগ। তিনি উপস্থিত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের সামনে বাংলা ক্যালেণ্ডারের ইতিহাস তুলে ধরেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রদীপ দাশগুপ্ত, গণিত বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট প্রিন্সিপাল জুলি বিনগে, স্কুল ক্লাবগুলোর সমন্বয়কারী অ্যামি টেইলর, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষিকা মিস যোগরাজ, মিস. সীমন ও গণিতের শিক্ষক মি. আব্দুল্লাহ প্রমুখ। বাঁশি বাজিয়ে শোনান স্কুলের ছাত্রী হেদার। কবিতা পড়েন ক্লাবের চার ছাত্র; যথাক্রমে আব্দুল মুহিত, আখতারুন ভূঁইয়া, আবুল খায়ের ও মেজবাহউদ্দীন রিজভী। এই অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে স্কুলে একটি বাংলা লাইব্রেরীরও উদ্বোধন করা হয়। স্বল্প সংখ্যক বইয়ের এই সংগ্রহকে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বেলাল বেগ ও প্রদীপ দাশগুপ্ত। সব শেষে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পিজ্জা পার্টির আয়োজন করে। এর আগে দিনের শুরুতে ইন্টারকমের মাধ্যমেও "শুভ নববর্ষ"-র বার্তা পৌঁছে যায় স্কুল ক্যাম্পাসের প্রায় ৪ হাজার ছাত্র শিক্ষকের কাছে। |