|
The 6th Shabdaguchha Biannual Poetry Award 2011
|
|
Other News
নিউইয়র্কে কবিতা সন্ধ্যায় নির্মলেন্দু গুণ
৫ জুলাই, ২০১১ শব্দগুচ্ছ কবিতা পত্রিকা আয়োজিত কবিতা সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। তিনি তাঁর বক্তব্যে গ্রামের বাড়িতে গড়ে তোলা স্কুলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং নিউইয়র্কের কবিদের সেই স্কুলে কবিতা পাঠের আমন্ত্রণ জানান। ইতিপূর্বে ২১শে ফেব্র“য়ারীতে গুণের আমন্ত্রণে শব্দগুচ্ছ সম্পাদক কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ নেত্রকোণার এই স্কুলে কবিতা পড়েছেন, সে কথা উল্লেখ করে গুণ বলেন আপনারাও আমেরিকা থেকে কবিতা নিয়ে আসুন, পড়ে শোনান এবং ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীদের অনুপ্রাণিত করুন। ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে কন্যা মৃত্তিকা সহযোগে গুণ ওইদিন সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এসে পৌঁছালে হাসানআল আব্দুল্লাহ এবং তাঁর স্ত্রী কবি নাজনীন সীমন তাঁদের স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে "বাংলা কবিতা" বিষয়ে বক্তব্য রাখেন নিউস্কুল ইউনিভার্সিটির ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক নিকোলাস বার্নস, "আমেরিকায় বাংলা কবিতা"র উপরে আলোকপাত করেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে কবিতা পড়ে শোনান হাসানআল আব্দুল্লাহ, শামস আল মমীন, সৈয়দ মোহাম্মদ মাশুক, মুহাম্মদ সামাদ ও নাজনীন সীমন প্রমুখ। ইংরেজীতে গুণের কবিতা আবৃত্তি করেন দুই ক্ষুদে আবৃত্তিশিল্পী একক সৌবীর ও নাবিদ মামুন। বিভিন্ন পর্যায়ে অন্যান্যদের মধ্যে গুণের কবিতা বাংলায় আবৃত্তি করেন ফারুক আজম, লুৎফুন নাহার লতা, রেখা রোজারিও, বসুনিয়া ও সুবক্তাগীন সাকী প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেলাল বেগ, আলেয়া চৌধুরী ও জীবন চৌধুরী। অনুষ্ঠান শুরু হয় সহযোগী আয়োজক 'বাংলা টাইমস' পত্রিকার সম্পাদক ডা. সারওয়ারুল হাসানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে; পরিচালনা করেন নাজনীন সীমন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ভূঁইয়া আহসান হাবীব, সঞ্জীবন, সুবক্তাগীন সাকী ও ওবায়দুল্লাহ মামুন।
পোয়েট্রি প্লেসে কবিতা পড়লেন কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ
লং আইল্যান্ডের প্যাসাক শহরের পোয়েট্রি প্লেসে ২৯ অক্টোবর, শনিবার, কবিতা পড়েন কবি ও শব্দগুচ্ছ সম্পাদক হাসানআল আব্দুল্লাহ। দ্যা নর্থ সি পোয়েট্রি সিন আয়োজিত এ অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। প্রচণ্ড তুষার ঝড় উপেক্ষা করে কবিতা শুনতে আসা স্থানীয় কবি ও কাব্যপ্রেমীদের শুরুতেই হাসানআল আব্দুল্লাহ ধন্যবাদ জানান। এর আগে কবিকে পরিচয় করিয়ে দেন এড স্টিফেন। নিজের গ্রন্থ ‘ব্রেথ অব বেঙ্গল’ ও প্রকাশিতব্য নতুন অনুবাদ গ্রন্থ থেকে প্রায় পৌনে একঘণ্টা ধরে কবিতা পড়ে তিনি কাব্যমোদিদের মুগ্ধ করেন। দর্শকদের অনুরোধে একটি কবিতা মূল বাংলায়ও পড়ে শোনান। কয়েকটি কবিতার পটভূমি ব্যাখ্যা কারার সাথে সাথে স্বতন্ত্র সনেট ও তাঁর মহাকাব্যিক গ্রন্থ নক্ষত্র ও মানুষের প্রচ্ছদ রচনার শুরুর দিকের কথাও তিনি তুলে ধরেন। মূল আয়োজক ও পোয়েট্রি প্লেসের কর্ণধার কবি, সম্পাদক ও সাফোক কাউন্টির আগের টার্মের পোয়েট লরিয়েট ট্যামি নুজো মারগান অনুষ্ঠান শেষে কবিকে সনেট নিয়ে ওয়ার্কশপ করার জন্যে আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন। মিসেস মারগান আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দেন যে এ বছরই সাড়ে চারশত পৃষ্ঠার একটি কবিতার অ্যান্থোলজি তিনি সম্পাদনা করছেন, যার শুরু হবে হাসানআল আব্দুল্লাহর কবিতা দিয়ে। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় ফিচার পোয়েট ছিলেন কবি ও সাফোক কমিউনিটি কলেজের ক্রিয়েটিভ রাইটিং বিভাগের প্রফেসর পল আগস্টিনো।
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে
২০১২ সালের ২৪ মার্চ নিউইয়র্কের বিংহ্যামটন শহরে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে আমন্ত্রিত হলেন শব্দগুচ্ছ সম্পাদক কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ। ব্র“ম কাউন্টি আর্ট কাউন্সিল ও বিংহ্যামটন ইউনিভার্সিটির ক্রিয়েটিভ রাইটিং বিভাগের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী প্রফেসর মারিও মরোনি স¤প্রতি এক ইমেল বার্তায় কবিকে এই আমন্ত্রণ জানান। হাসানআল আব্দুল্লাহ সহ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষার সাত ও চারজন মার্কিন কবি-সাহিত্যিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের হোটেল সহ সমস্ত ব্যয়ভার আয়োজকদের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। উল্লেখ্য, কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে আমন্ত্রিত কবি হিসেবে বহুদিন ধরে কবিতা পড়ে আসছেন। তিনি ২০০৭ সালে কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্ট ও ২০০৮ সালে পুশ কার্ড পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হন। ১১টি কাব্যগ্রন্থসহ ইংরেজী ও বাংলায় তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ২১। তিনি নিউইয়র্কের ওয়াশিংটন আর্ভিং হাইস্কুলে গণিত ও কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে একই স্কুলের বিজনেস একাডেমীর কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন।
ওয়াশিংটন আর্ভিং হাইস্কুলে বাংলা ক্লাবে ৪০তম বিজয় দিবস উদযাপন
ম্যানহাটনের ইউনিয়ন স্ক্যয়ারে অবস্থিত ওয়াশিংটন আর্ভিং হাইস্কুলের বাংলা ক্লাবের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয় ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার। ওয়াশিংটন আর্ভিং ছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল হাইস্কুলের প্রচুর ছাত্রছাত্রী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উভয় স্কুলের প্রিন্সিপল, এসিস্টেন্ট পিন্সিপাল, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রী ও অতিথি শিল্পীর উপস্থিতি ৪০তম বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট দেবাশীষ কর্মকার। শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রিন্সিপল মিস্টার অ্যাসকোনা, প্রিন্সিপল মিস গেলিয়া, এসিস্টেন্ট প্রিন্সিপল মিস্টার ক্রজ, এসিস্টেন্ট প্রিন্সিপল মিস হারনানদাজ ও প্যারেন্ট টিচার কোয়ার্ডিনেটর মিস্টার আরিজা সকল বাংলাদেশীকে অভিনন্দন জানানোর সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে সম্মিলিত ভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের ভেতর দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। অতিথি শিল্পী ছিলেন নির্জন। “আমি বাংলার গান গাই” ও “একতারা বাজাইও না,” ইত্যাদি সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি ছাত্রছাত্রীদের ভেতর থেকে তুমুল সাড়া পান। এক পর্যায়ে অনেকেই দেখা যায় তাঁর সাথে সুর মিলাতে। শামসুর রাহমান-এর “স্বাধীনতা তুমি” ও হুমায়ুন আজাদের “আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে” আবৃত্তি করে শোনান স্কুলের দুই ছাত্রী বিবি রাবেয়া ও ফারজানা হ্যাপি। ইংরেজী অনুবাদে “আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে” পড়েন গাইডেন্স কাউন্সেলর মিস. কামেলা স্মিথ। স্বাধীনতা যুদ্ধের উপরে হাসানআল আব্দুল্লাহ সম্পাদিত ‘দ্যা বার্থ অব বাংলাদেশ’ ও ক্লাবের ছাত্রদের তৈরী অন্য একটি ডকুমেন্টারি প্রদশন করা হয়। পাকিস্তানী ছাত্র আমানদীপ সিং-এর পরিচালনায় “ব্রিং দ্যা ট্রেইটর টু জাস্টিস” শীর্ষক কবিতার বৃন্ত আবৃত্তিতে অংশ নেন আব্দুল মুহিত, অনিক আহমেদ, ফারজানা খান ও ফারজানা হ্যাপি। বিভিন্ন পর্যায়ে নৃত্য পরিবেশন করেন অনিক আহমেদ, ফারজানা খান, আমানদীপ সিং ও মারজাহান আখতার। সব শেষে দেশীয় খাবারে উপস্থিত সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়। সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন গণিত শিক্ষক ও স্কুলের বিজনেস একাডেমীর কোঅর্ডিনেটর মিস্টার হাসানআল আব্দুল্লাহ। তাঁকে সহযোগিতা করেন ক্লাবের বর্তমান প্রেসিডেন্ট দেবাশীষ কর্মকার, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অনিক আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মুহিত, সাধারণ সম্পাদক সুমন, সাদমান রহমান, আব্দুল আজিজ, আখতারুণ ভূঁইয়া প্রমুখ। সাউন্ড ও টেক সহায়তায় ছিলেন অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সাঈদ রেজা, ও স্কুল টেক কোঅর্ডিনেটর রন ওয়েলস।
|
|