|
বাংলা কবিতা
শম্ভু রক্ষিত/Sambhu Rakshit
গাঁয়ের চাষাভূষোরা আবার
প্রত্যেকটি পৃথ্বীর নিচে একটি করে পাহাড় গড় রয়েছে
এবং কবিতা কি? গাঁয়ের চাষাভূষোরা জানে না,
তাদের যে যা বোঝায় আর কি!
তাদের সবল স্পর্ধার শক্তি এবং গুটিয়ে থাকা ফুসফুস
তাদের ছোট ধাইমার দূরবীন দিয়ে দেখা সৌজন্য
যা বলা যায় তাই করে।
মহার্ঘ ঝুনঝুনি নাড়া বৃক্ষের উপবাসী চোখ, শহরের সম্মুখভাগ
অতোটা বড়ো নয়
প্রকৃতির আঁচলপাতা-কুশল
মিথুনজননীর স্পর্ধা
তাদের বাহুর উপর দৌড়ে এসে উঠতে পারে—
ভিলাই সংগীত, খেলনাপাতি করাত, চোঙা রেকর্ড, ফোনোগ্রাফ
এবার কি এদের সহায়তা করা যেতে পারে?
ঘুটগেড়িয়ার ওই-ধাতু তৈরী হতে যে-উপকরণ লাগে
সে-সমস্তই এদের আত্মীয়বর্গের জানা হয়েছে
বাস্তবিক কাছেই বারুদ ফাঁপা লোহার গোলার মধ্যে
এদের আত্মীয়বর্গ ব্রক্ষা গৃধ্নু ছুরি নিয়ে মহাযজ্ঞ সারছে।
আর যাদের উদাসীনতা আজ দু’হাজার বর্গমাইলের খাদ্যসম্ভারের উপর
যাদের দাদা মহাশয় কিংবা বড়োদাদা তাদের টিপ্পনীকার ও প্রযোজক
বা যারা ক্ষেপণাস্ত্রের পাথর তারামণ্ডলের কাছ থেকে এখানে এনেছে
বলে দাবি করেছে,
মজা, তাদের যৌবন পড়ে গেছে।
মজা, গাঁয়ের চাষাভূষোরা আবার কবিতার মধ্যে
একটা প্রাকৃত জানোয়ার কুড়িয়ে পেয়েছে
মজা, তারা শহরের মঞ্জিলে এসে পড়লো।
হাসানআল আব্দুল্লাহ/Hassanal Abdullah
মিল
আমি গাধা ও গরুর মধ্যে
তেমন তফাৎ খুঁজে পাইনি যেমন
ধান ও গমের মধ্যে।
আমি কোরআন ও বাইবেলের মধ্যে
তেমন তফাৎ খুঁজে পাইনি, যেমন
ডাল ও ঝোলের মধ্যে।
আমি মোল্লা আর ভিক্ষুকের মধ্যে
তেমন তফাৎ খুঁজে পাইনি, যেমন
কচু ও ঘেঁচুর মধ্যে।
আমি মূর্খ ও মৃতের মধ্যে
তেমন তফাৎ খুঁজে পাইনি, যেমন
ধূর্ত ও শেয়ালের মধ্যে।
বস্তুতঃ মূর্খই মৃত,
ধূর্তই শেয়াল।
নাজনীন সীমন/Naznin Seamon
ক্ষয়ে যাচ্ছে চাঁদ
ক্ষয়ে যাচ্ছে চাঁদ, ভাঙছে আকাশ
ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতা, পুবালী বাতাস
যাচ্ছে সবই স্রোতে ভেসে
খানিক খেলে মুচকি হেসে
দরজা এবং জানলাগুলো
ঘুণ পোকাতে কাটছে
দল বেঁধে সব ন্যাংটো মানুষ
পুবের দিকে হাঁটছে
যাচ্ছে ধীরে, কখন আবার ভীষণ জোরে
যুদ্ধ তো নয়, কাটছে সময় কিসের ঘোরে
পালের দাড়ি মাতাল ধরে
সময়গুলো যাচ্ছে ঝরে
টুপটুপ টাপটুপ . . .
|