|
Contributors:
Poetry and Essays:
Hassanal Abdullah
Roni Adhikari
Kayes Ahmed
Rassel Ahmed
Chak Amitava
Pallav Bandyopadhayay
Stanley H. Barkan
Nicholas Birns
Jyotirmoy Datta
Jyotiprakash Dutta
Caroline Gill
Nirmolendu Goon
Clinton Van Inman
John McLeod
Manas Paul
Matin Raihan
Hasan Sabbir
Naznin Seamon
Amiyakumar Sengupta
Letters to the Editor:
Maria Bennett
Laura Boss
Stephen Cipot
Joan Digby
John Digby
Arthur Dobrin
Kristine Doll
Maria Mazziotti Gillan
Adel Gogy
Mary Gogy
Mike Graves
Leigh Harrison
Yvette Neisser Moreno
Marsha Solomon
Tino Villanueva
Bill Wolak
Letters to the Editor:
Babette Albin
Chandan Anwar
Mansur Aziz
Laura Boss
Rumana Gani
David Gershator
Caroline Gill
Isaac Goldemberg
Zahirul Hasan
Omar Faruque Jibon
Gholam Moyenuddin
Hasan Sabbir
Subir Sarkar
Tabrish Sarker
Bikul Hossain Rojario
Cover Art:
Ekok Soubir
কেবল লেখা প্রকাশ করাই নয়, দুই বছর অন্তর ‘শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার’ ঘোষণা, তাতে বিভিন্ন ভাষাভাষী কবিদের একত্রিত করা, কাব্য বিনিময়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা,
পাঠকের মনোনয়নের মাধ্যমে পুরস্কারের জন্য একজন কবিকে নির্বাচন করা, সম্মান প্রদর্শনের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবিকে পদক ও অর্থ প্রদান ছাড়াও তাঁর একটি কবিতার বই প্রকাশের
দায়িত্ব ইত্যাদি সন্দেহাতীত ভাবে বাংলা কবিতায় নতুন সংযোজন ।
—নাজনীন সীমন
|
|
Shabdaguchha: The 15th Anniversary Issue
নাজনীন সীমন
‘শব্দগুচ্ছ’র সাথে পনেরো বছর
জীবনানন্দ দাশ বলেছিলেন, “সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।” এই উক্তিটি যে কতোখানি সত্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একই ভাবে বলা যায়, কবিতা বা সাহিত্যের যে কোনো শাখায় নিয়মিত কাজ করলেই যে কেউ সম্পাদক হবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন না। ফলতঃ তিরিশের দশকে পাঁচজন শক্তিশালী কবি থাকা সত্ত্বেও একজন বুদ্ধদেব বসুর প্রয়োজন হয়েছিলো ‘কবিতা’ নামক কবিতার পাটাতন তৈরী করতে যেখানে তিনি ঘটিয়েছিলেন নক্ষত্রমেলা এবং একান্ত নির্জনতার লাজুক কবিও আকর্ষিত হয়েছিলেন, লজ্জাবনত মুখে কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কেননা সম্পাদকের জহুরী চোখ খাঁটি সোনা চিনে নিতে ভুল না করে ঠিক খুঁজে নিয়েছিলেন কবি ও কবিতা এবং ‘কবিতা’কে স্বাক্ষী করেছিলেন এক উর্বর সময়ের যার থেকে আজো ঋদ্ধ হচ্ছেন পাঠক।
সম্পাদনা শব্দটি খুব একটা ভারী না হলেও কাজটি বেশ জটিল, আর তা যদি হয় নিখাদ কবিতা পত্রিকার, তবে তো কথাই নেই। সাহিত্য সাময়িকীগুলো যখন চেনা মুখের বারংবার অযাচিত উপস্থাপনে নুয়ে পড়ে, কবিতা যখন খোলা বাজারের নষ্ট ফলের মতো মাছি টেনে আনে, তখন প্রয়োজন হয় সুদৃঢ় হাতের শক্ত লাগাম। অনেকেই লিটল ম্যাগ আন্দোলনের মাধ্যমে সম্পাদনার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনে প্রয়াসী হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে; কেউ কেউ সফলতার দ্বার ছুঁয়েছেন, কেউ বা মাঝ পথে থমকে গেছেন। অকবিতায় পাতা ভরানো থেকে কবিতা দিয়ে পত্রিকা সাজানো ঢের কঠিন। ১৫ বছর ধরে এই দুরূহ কাজটিই করে আসছে ‘শব্দগুচ্ছ’।
‘শব্দগুচ্ছ’-র জন্ম বৃত্তান্ত কেউ কেউ হয়তো ভাসা ভাসা জানেন। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকী খুলে হতাশার দীর্ঘশ্বাসে প্রত্যয়ের প্রলম্বিত ছায়া, সমালোচনার নামে পরিচিত মুখের অকবিতার ঝুড়িতে ফুলেল শুভেচ্ছার বমনোদ্রেককারী চিত্র দেখে উত্তরণের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, সাড়ে তিন হাজার ডলারে প্রিন্টারসহ একটি ম্যাকিনটশ কম্পিউটার কিনে রাত জেগে লেখা, তারও আগে একজন সাহিত্যিক বন্ধুর কাছ থেকে প্রায় ফেলে দেয়া পুরোনো কম্পিউটার স্বল্পমূল্যে নিয়ে বাংলা টাইপে হাত বসানোর চেষ্টা, আঁতিপাতি খুঁজে একটি স্বল্পখরচের মুদ্রণস্থান বের করা, অর্থ সাশ্রয়ের জন্য কেবল ছাপিয়ে এনে রাত জেগে পত্রিকা ভাঁজ করে পিন লাগানো, খামে ভরা, কবিদের—বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এমনকি প্রাপ্তি স্বীকারের সৌজন্যবোধহীন—ঠিকানায় পত্রিকা পাঠানো, দোকানে দোকানে পত্রিকা রাখার স্বল্পসক্ষম প্রচেষ্টা, পত্রিকার অঙ্গ সৌষ্ঠবের নানাবিধ সমালোচনা, দেশ বিদেশের নানা জায়গা থেকে ডাকযোগে কবিতা প্রাপ্তি, নানা ঢঙের হাতের লেখা, একটি শব্দের বা শব্দবন্ধের আবিষ্কারের জন্য কোনো কোনো লেখা দীর্ঘসময় ধরে পড়া, অদৃশ্য কাঁচি দিয়ে কবিতার শরীর থেকে বাহুল্য সরানো, কখনো কখনো পঁচিশ ত্রিশ লাইন লেখার উপর নীচ থেকে মেদ সরিয়ে হয়তো মাত্র কয়েক লাইনের সৌন্দর্যে পরিণত করা, আট দশটি কবিতা থেকে একটি কবিতার অংশ বিশেষ ছাপা, কবিতা ছাপা না হওয়ায় কবির কবিত্বে আঘাত, লেখা না চাওয়ায় অভিমান, কবিতা প্রথম ছাপা হওয়ার উচ্ছ্বাস, ধন্যবাদ জ্ঞাপনের চিঠি, প্রতিবার চিঠির বাক্স খোলা, যথেষ্ট ভালো কবিতা না পাওয়ায় দুশ্চিন্তা, মুদ্রণ প্রমাদের কারণে মন কষাকষি—এমনি হাজারো গল্প সবার না জানারই কথা। যে সময়ে কম্পিউটারটি কেনা হয়, অতোগুলো টাকা তখন ছিলো বিশাল ব্যাপার। ছাপা খরচ, ডাকযোগে গ্রাহকের দ্বারে পত্রিকা পাঠানোর খরচ বহন করাও ঐ সময়ে যথেষ্ট কষ্টসাধ্যই ছিলো বটে। তবু জন্ম নিলো ‘শব্দগুচ্ছ’, নিন্দুকের নিন্দা পাশ কাটিয়ে এক দুই তিন করে পনেরো বছরে পা দিলো। খুব একটা মসৃণ ছিলো না এই পথ চলা, কিন্তু থামেনি কখনোই।
ত্রৈমাসিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ এবং দীর্ঘ বারো বছর পর ষান্মাষিকে রূপন্তরিত ‘শব্দগুচ্ছ’ বাংলা কবিতায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে অনেকগুলো সুনির্দিষ্ট কারণে যার প্রথমটি হচ্ছে, বাংলা ভাষায় এটিই একমাত্র দ্বিভাষিক কবিতা পত্রিকা যেখানে কেবল ইংরেজী থেকে বাংলায় নয়, বরং অনুরূপ বাংলা থেকে ইংরেজীতে অনুবাদের মাধ্যমে কবিতার জগতে সেতুবন্ধন তৈরী করা হয়েছে। পরিসর ক্ষুদ্র এ কথা সত্য, তবে কিছুকাল আগেও আন্তর্জাতিক কবিতাঙ্গন রবীন্দ্রনাথ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বাঙালী কবির লেখা বা নামের সাথে পরিচিত ছিলো না। কিন্তু ‘শব্দগুচ্ছ’-র পাঠক আজ জীবনানন্দ, নজরুল, রাহমান, কাদেরী, আজাদসহ বাঙালী অনেক কবির লেখার সাথেই পরিচিত হতে পারছেন, দু’একজন প্রবন্ধও লিখছেন উপরোক্ত কবিদের কবিতা নিয়ে—নিঃসন্দেহে এটি এই পত্রিকার একটি বৃহৎ অর্জন।
‘শব্দগুচ্ছ’-র আরো একটি অনন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো এটিই সম্ভবত বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা যেখানে জীবিত কবিদের নিয়ে দু’টি অনুবাদ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে,
যা লাইব্রেরী অব কংগ্রেস সহ নানা ভাষার পাঠকের হাতে পৌঁচেছে। প্রকাশ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা থেকেও অনুবাদ সংখ্যা ও বড়ো কবিদের কবিতা ভাবনা নিয়ে
বিশেষ সাক্ষাৎকার। সব মিলিয়ে বাংলা ভাষায় তো বটেই, অন্যান্য অনেক ভাষাভাষী কবি, অনুবাদক ও কবিতাপ্রেমীর শুভকামনা, ভালোবাসা ও সমালোচনার অম্ল-মধুর বচনও কুড়িয়েছে।
কেবল লেখা প্রকাশ করাই নয়, দুই বছর অন্তর ‘শব্দগুচ্ছ কবিতা পুরস্কার’ ঘোষণা, তাতে বিভিন্ন ভাষাভাষী কবিদের একত্রিত করা, কাব্য বিনিময়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, পাঠকের মনোনয়নের মাধ্যমে পুরস্কারের জন্য একজন কবিকে নির্বাচন করা, সম্মান প্রদর্শনের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবিকে পদক ও অর্থ প্রদান ছাড়াও তাঁর একটি কবিতার বই প্রকাশের দায়িত্ব ইত্যাদি সন্দেহাতীত ভাবে বাংলা কবিতায় নতুন সংযোজন ।
কতোখানি একনিষ্ঠ হলে এককভাবে অর্থাৎ কিনা কেবলমাত্র মুদ্রণ ছাড়া সমস্ত কাজের দায়িত্ব নিয়েও বছরের পর বছর একটি সুখপাঠ্য পত্রিকা বাংলাদেশ ও ভারতের কাব্যপ্রেমীদের হাতে শতকরা ৯৯ ভাগ সময়ে বিনামূল্যে পৌঁছানো সম্ভব, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারও চেয়ে বড়ো কথা, সম্পূর্ণ অপরিচিত কারো কবিতাও কেবলমাত্র ভালো কবিতা বা কবিতা হবার কারণে একটি পত্রিকায় ছাপা হতে পারে, বাংলাদেশে অন্তত এ সময়ে যখন এমন দৃষ্টান্ত নেই, তখন প্রশ্নাতীত ভাবে বলা চলে, ‘শব্দগুচ্ছ’ একটি ইতিবাচক ব্যতিক্রমী ধারা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
পত্রিকাটি দেখতে খুব একটা স্বাস্থ্যবান না হলেও কবিতাপত্র হিসেবে নেহায়েত কৃশকায় নয়। জীবিকার্জন, সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব শেষে একটি পত্রিকাকে মুদ্রণপ্রমাদমুক্ত করার উদ্দেশ্যে পাণ্ডুলিপির একাধিক পঠন খুব একটা সহজসাধ্য নয়, বরং যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। কতো কতো বার যে ঠিক সময়ে চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি তৈরী না হওয়ায় তিক্ততা হয়েছে, ইয়ত্তা নেই। কখনো কখনো একটি বানান ভুলের জন্যও বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অবশ্য প্রতিবারই প্র“ফ সংশোধন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিনা বৈতনিক এই নিবন্ধকারের প্রচণ্ড খারাপও লেগেছে আরও সচেতন না হবার কারণে; ‘শব্দগুচ্ছ’ তো লেখকের মস্তিষ্ক ও হৃদয় প্রসূত লেখার ধারক, তাই এর প্রকাশ নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন। আবার কখনো নতুন পত্রিকা ওল্টানোর সাথে সাথে মারাতœক কোনো ভুল চোখে বিঁধেছে হারপুনের মতো। ক্ষেত্র বিশেষে হোয়াইট আউট দিয়ে মুছে কলম দিয়ে সবগুলো কপি উল্টে বানান শুদ্ধ করা হয়েছে অসাবধানতার নিকুচি করতে করতে।
‘শব্দগুচ্ছ’ প্রকাশের সবচে’ আনন্দের স্মৃতি হলো রাত জেগে স্বয়ং সম্পাদক, কবি রুকসানা রুপা ও এই নিবন্ধকারের মেঝেতে বসে পত্রিকা ভাঁজ করে পিন আঁটা, পাশে তিন কাপ লাল চা, মুড়ি বা বিস্কুট, কখনো সিঙ্গাড়া, পানের সরঞ্জাম; আর হাসি ঠাট্টা তো ছিলোই। সাথে সাথে কবি ও কবিতা নিয়ে প্রাণখোলা গল্পের পাহাড়, স্মৃতিকথায় প্রকৃতির ঘড়িতে গভীর রাত, অথচ মনে কোনো ক্লান্তি ছিলো না। কখনো কখনো আবার গোছানো পত্রিকার বাক্সের ভেতর সম্পাদক পুত্র, তখনকার ছোট্ট একক-এর বসে পড়া, মুখে লালা ঝরাতে ঝরাতে ছোটো দুই হাতে পত্রিকা ভাঁজের প্রাণান্ত চেষ্টায় সকলের হাসির দমক তুলে দেয়া—কতো কতো গল্প জমা হয়ে গেছে ‘শব্দগুচ্ছ’-র চলার পথে, ইয়ত্তা নেই। তবে একটি স্বীকারোক্তি না করলেই নয়: কথিত আছে যে বাংলাদেশে নাকি অল্প বয়সে কবিতা লেখেননি এমন কেউ নেই। হয়তো অল্প বয়সে তেমনি এই নিবন্ধকারও লিখতেন; বলাই বাহুল্য নজরুল, রবীন্দ্রনাথের মতো মিল রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা থাকতো সেইসব লেখায়। অন্যদিকে আধুনিক কবিতা পড়া শুরু করার আগেই বোধ হয় শুরু হয়েছিলো আবৃত্তি শোনা। দুঃখজনকভাবে যেহেতু কবিতা বা গানের ক্যাসেটে কণ্ঠশিল্পীরই জয় জয়াকার হয়; ফলতঃ কোনটি কার কবিতা না-জেনেই, অনেকগুলো কবিতার প্রেমেও তিনি পড়েছিলেন। তারপর একসময় পিতৃব্যের হাত ধরে আধুনিক কবিতায় অল্প অল্প করে প্রবেশ করেছিলেন, যেখানে সম্বল ছিলো বই এবং পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকী। কবিতার তীব্র জোয়ারে কেমন করে যেনো নিজের লেখার সাহস হারিয়ে গিয়েছিলো, তালাবদ্ধ টেবিল ড্রয়ারের এক কোণে স্থান পেয়েছিলো কবিতার ডায়েরী, কেননা বাড়ীর সবার হাতে পড়ার লজ্জা থেকে বাঁচার ওটিই ছিলো সর্বোত্তম পন্থা। এরপর বহুদিন লেখাই ছিলো থেমে। ‘শব্দগুচ্ছ’র প্রথম সংখ্যা বেরোনোর প্রাক্কালে, ঠাট্টাচ্ছলে সম্পাদকের বরাবরে নিজের কবিতা প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি তখন ততোধিক ঠাট্টায় কিংবা সত্যি সত্যি বলেছিলেন, প্রকাশ যোগ্য কবিতা লিখে দিলে নিশ্চয়ই ছাপা হবে। তারপর কেমন করে যেনো মনের তালাবদ্ধ লুকোনো ড্রয়ার খুলে যেতে থাকলো। ততোদিনে অবশ্য সম্পাদকের সহযোগিতায় অনেক অনেক কবি ও কবিতার সাথে পরিচয়ও ঘটে গিয়েছিলো। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় যদি একটি কবিতাও লেখা হয়ে থাকে তবে ‘শব্দগুচ্ছ’কে দ্বিধাহীন কৃতজ্ঞতা।
কবিতা পত্রিকার পনেরো বছর পূর্তি খুব একটা সহজ কথা নয়। সেই কঠিন কাজটি সম্পন্ন করেছে ‘শব্দগুচ্ছ’ সত্যিকার কবি আর কবিতাপ্রেমীদের ভালোবাসায় আর্দ্র হয়ে; নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, আরো প্রশস্ত হবে এর পথ চলা। ষোড়শ এই পত্রিকাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা; প্রত্যাশা যেনো কেবল বাহ্যিক রূপ নয়, বরং একটি শক্ত পাটাতন হয়ে এটি ধারণ করতে পারে প্রকৃত কবি ও কবিতার সমৃদ্ধ ভাণ্ডার, হয়ে উঠতে পারে কবিদের নিশ্চিন্ত ঠিকানা, তৈরী করতে পারে সত্যিকারের সমালোচনার ধারা।
নিউইয়র্ক
|
|