|

Contributors:
Poetry and Essays:
Anisur Rahman Apu
Ariful Islam
Basudhara Roy
Bill Wolak
Bishnupada Ray
BZ Niditch
Derek Walcott
Hassanal Abdullah
Jahanara Parveen
Jyotirmoy Datta
Louisa Calio
Maria Bennett
Masudol Hassan Rony
Michael Graves
Naoshi Koriyama
Naser Hossain
Naznin Seamon
Nicholas Birns
Octavio Paz
Pallav Bandyopadhayay
Sonali Begum
Stephanie McMillan
Swapan Majhi
Shabda News:
Bhuiyan Ahasan Habib
Letters to the Editor:
Azad Kashmir Zaman
Belal Beg
Bill Wolak
Leigh Harrison
Lidia Chiarelli
Louisa Calio
Michael Graves
mike graves
mike graves
Rudranath Banerjee
Saidur Rahman Milon
Tahmidul Islam
Zakir Sayed
Cover Art:
Mia Barkan Clarke
|
|
সম্পাদকের জার্নাল
কোরিয়ান আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব
কোরিয়ান আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে (১২ এপ্রিল, ২০১৪) কয়েকটি মুহূর্ত একান্ত আমার হয়ে থাকলো। শুধু এজন্যে নয় যে আমার নিজের কবিতা বাংলা ইংরেজী ও কোরিয়ান ভাষায় পড়া হলো, অন্য একটি আনন্দও ছড়িয়ে দিলেন বিশ্বখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী, তুর্কি বংশদ্ভূত কবি সুলতান ক্যাটো—যা বাঙালীর সবচে’ গর্বের—পহেলা বৈশাখ, বাঙলা নববর্ষ। কবিতা পড়তে গিয়ে তিনি বললেন যে একটি কথা না বললেই নয়, দু’দিন পরে আমাদের কবিবন্ধু হাসানআল আব্দুল্লাহ’র জন্মদিন। তিনি আমাকে দাঁড়াতে অনুরোধ করলে হাত তালি এবং শুভ জন্মদিন ধ্বনীতে মুখর হয়ে উঠলো পোয়েটস হাউসে হল রুম। আমি বললাম, হ্যাঁ পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ—ওই দিনই আমি জন্মেছিলাম। নানান ভাষার কবিদের ভালবাসায় সিক্ত হলো আমার ৪৭তম জন্মদিন! বন্ধু সুলতানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই কবিতা উৎসব পরিচালনা করলেন কবি ও প্রকাশক স্ট্যানলি এইচ বারকান। সদ্য প্রকাশিত আন্তর্জাতিক কোরিয়ান কবিতা সংকলন ‘ব্রিজিং দ্যা ওয়াটার’ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক কবি শোনালেন তাদের কবিতা; পাশাপাশি কোরিয়ান ভাষায় পড়লেন অনুবাদক রেচল কে। অন্যান্যদের মধ্যে কবিতা পড়লেন (আমেরিকান) মারিয়া বেনেট, লরা বস, মিয়া বারকান ক্লার্ক, আর্থার ডবরিন, ক্রিস্টিন ডোল, চার্লস ফিসম্যান, মারিয়া মাজিওটি গিলেন, লি হ্যারিসন, লিসা হরুউটজ, জিম গোয়েন, আলিসা ল্যাপেন, রবিন মেটস, ড্যান সাপ্রিও, বিল ওয়ালেক; (অন্তর্জাতিক) হাসানআল আব্দুল্লাহ, রিতা ভালমিনো, ডেভিড কারজন, মাইকেল কাকুলা, সিলভিয়া কফলার, বিলিয়ানা অব্রাডেভিক, মিন্ডি রিকউইজ, পিটার টিবেট জনস, বিসেরা ভিডোনোভা, নাজনীন সীমন; (কোরিয়ান) চুং বিয়া, মে সুং বে, কোয়াং রিয়েল চো, ইয়ান হো চো, মিশেল চাং, সাং হি কোয়াং, কিয়ং-নেয়াং কিম, ক্রিসিটা চিং, ও রেনে ইয়োং। অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় তিন কোরিয়ান কবি চো জে হেন (১৯২০-১৯৬৮), কো ইয়াং (১৯২৫-২০০৮) ও লিও ভ্রোমেন-এর (১৯১৫-২০১৪) স্মৃতির প্রতি। পরে কোরিয়ান আর্ট সোসাইটির সৌজন্যে বিশেষ ডিনারের আয়োজন করা হয়।
ভিলেজে কবিতা
আজ বিভিন্ন দেশের কবি ও কবিতা নিয়ে বিখ্যাত গ্রীনিজ ভিলেজে একটি চমৎকার দিন কাটলো। চার্লস স্ট্রিটের যে বিল্ডিংয়ে এই আসর বসেছিলো তাঁর দু’বিল্ডিং পরে একসময় বসবাস করতেন আমেরিকার বিখ্যাত কবি হার্ট ক্রেন এবং ঔপন্যাসিক সেনক্লেয়ার লুইস, যিনি প্রথম মার্কিনী হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান। এই ঐতিহাসিক ভিলেজে বিগত বছরগুলোতে বহুবার কবিতা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু আজকের দিনটি ছিলো আলাদা। আজ আমরা মিলিত হয়েছিলাম গুজরাটি কবি দিলীপ জেভেরিকে স্বাগত জানাতে। তাঁর নতুন বই ‘ওয়ান্স দিস মিস্ট ক্লিন্স’ প্রকাশ করেছে লং আইল্যান্ডের ফেরাল প্রেস। অনুষ্ঠানে ইংরেজী ভাষা ছাড়াও বাংলা, গুজরাটি, সিসিলিয়ান, ও ইডিশ ভাষায় কবিতা ধ্বনিত হলো। আমি পড়লাম আমার অনূদিত ‘সিলেকটেড পোয়মস অব হুমায়ুন আজাদ’ [বিভাস, ঢাকা, ২০১৪] গ্রন্থ থেকে ‘আমি জন্মেছিলাম অন্যদের সময়ে’ ও ‘আমি খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে’ আর নিজের বই থেকে ‘কিছু পয়সা হলে’ ও ‘ঈশ্বরের রাজ্য’। শেষ কবিতাটি ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলায়ও পড়ে শোনালাম। দিলীপ জেভেরি নিজের বেশ কিছু কবিতা পড়ার পর রবীন্দ্রনাথ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন যে তিনি বাংলাও কিছুটা জানেন। আসরে অন্যান্যদের মধ্যে আরো কবিতা পড়লেন স্ট্যানলি এইচ বারকান, জোয়ান ডিগবি, লুইসা সেলিও, নিনো প্রোভেনজেনো, সুলতান ক্যাটো, মাইকেল গ্রেভস, মিন্ডি রিনকোভিজ, ও বিল ওয়ালেক প্রমুখ। গান গেয়ে শোনালেন মিকেলা মুসেলিনো ও মার্ক বারকান। আসর শেষে প্রকাশনা সংস্থা ক্রস কালচারাল কমিউনিকেশন্স-এর সৌজন্যে স্থানীয় সেভিলা রেস্টুরেন্টে নৈশ ভোজের আয়োজন করলেন স্ট্যানলি ও বিবি বারকান।
চলে গেলো চন্দন
চন্দন-এর মৃত্যু সংবাদ শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। সত্যিই খুব দুঃখজনক। ওর অসুখের পর ঢাকায় একবার ফোনে কথা হয়েছিলো। আহা! আশির দশকের শেষের দিকের সেই দিনগুলি হানা দিচ্ছে। সুন্দর সুন্দর ছড়ার অন্ত্যমিল খুঁজে বের করতো। একবার দীর্ঘ একটি অন্ত্যমিল ‘ময়মনসিংহ’-র সাথে এনেছিলো ‘নয় মন সিংহ’। আরেকবার কানে কানে একটা অসাধারণ অন্ত্যমিল শুনিয়ে বললো, খুঁজে পেয়েছি কিন্তু ব্যবহার করতে পারছিনা। না, সেই অন্ত্যমিলটি চন্দন কোনোদিন ব্যবহার করেনি। বিশ বছর পরেও সেদিন সেই অন্ত্যমিল নিয়ে ঠাট্টা করলাম। চন্দন বলতো হাসান ভাই, একবার বিদেশ যেতে পারলে কে লিখবে এইসব ছড়া! আমি হাসতাম। অথচ, ও দেশেই থাকলো আমি বিদেশে কাটালাম দুই যুগেরও বেশী। ওবায়দুল গণি চন্দন, ভাই আমার, তোমার জন্যে মনটা কেঁদে উঠলো।
হাসানআল আব্দুল্লাহ
Find us on Facebook
|
|