Shabdaguchha: Logo_new edited by: Hassanal Abdullah issue: 67/68

Shabdaguchha: Issue 67_68


Contributors:


Poets and Translators:


Kazue Shinkawa  
Rin Ishigaki  
Shinmin Sakamura 
Fumio Kataoka 
Kosaburo Nagatsu 
Jotaro Wakamatsu 
Naoshi Koriyama 
Hal Sirowitz 
Stanley H. Barkan  
Kelven Ka-shing LIT 
Peter Thabit Jones
Mike Graves 
Bishnupada Ray 
Hassanal Abdullah
Dhanonjoy Saha 
Matin Raihan 
Naznin Seamon
Anisur Rahman Apu 
Tushar Prasun 
Shiblee Shahed



Book Review:
Nicholas Birns  
Caroline Gill 


Interview:
William Heyen  
Bill Wolak


Cover Art:

Monique Ponsot


New Logo:

Najib Tareque



Shabdaguchha Title: Issue 68

Poetry in English


    মতিন রায়হান/Matin Raihan

    নদীপুরাণ গতিমুখ পাল্টে ফেলে নদীটা এসেছে আজ আমার দুয়ারে নাম তার শ্যামলবালিকা, ভেসে যাক উতল জোয়ারে পেছনে রোদ্দুর-মেঘ, ঝরে জল পায়ে-পায়ে জলের শৈশব স্রোতেরা অকূলে ছোটে, জলে আর মাছে দেখি হৈহৈ রব! নদীটা এসেছে কাছে, ডানাঅলা নৌকা-পাখি কাছে নেই আজ জলমহালের অদৃশ্য আগুনে পোড়ে ধীবরসমাজ দৃশ্যপটে কড়া নাড়ে ধোঁয়া আর ইঞ্জিনের কৃষ্ণকালো মেঘ হতাশ্বাসে মন কাঁদে, দূরপরবাসে...করুণ উদ্বেগ! নদীটা এসেছে ঠিক, ধুঁকে ধুঁকে আমার পায়ের কাছে, বালুময়... জল নেই মৎস্য নেই রজস্বলা বৃক্ষ নেই আঁধারে-আঁধারে ক্ষয়! ঢাকা

    নাজনীন সীমন/Naznin Seamon

    দুঃস্বপ্ন ভাঙার পর দুঃস্বপ্ন ভাঙার পর সমুজ্জ্বল মনে হয় আমার পৃথিবী। দাঁতাল সন্ত্রাস, যাবতীয় বিবিক্ত বঞ্চনা, না পাওয়ার সাত কাহন ও যন্ত্রণার সুদীর্ঘ অবর্ণনীয় উপাখ্যান; মনে হয়, তবুও তো আছি বেঁচে, মগ্নতা না থাক, রয়েছে নিভর্রশীলতার প্রগাঢ় বন্ধন। অজান্তেই প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়ে যাওয়া দূরত্ব লাগে না অতোটা তেতো, অপ্রত্যাশিত আচরণের দগ্ধ সময় ছড়ায় অসম্ভব মায়াবী সুগন্ধ হিম সন্ধ্যার কুয়াশা মাখা জীবনের মাঠে, মোমের আলোর মতো স্নিগ্ধ নরম তথাপি উষ্ণ লাগে সমস্তটা, অতিক্রান্ত পথের অমসৃণতা খটখটে ঠেকে না অতোটা আর। দুঃস্বপ্ন ভাঙার পর একান্তে জড়াই তাই গভীর আশে¬ষে; বোধ হয়, এইতো সংবেদ, বেঁচে থাকার নিখাদ উপাদান! অপ্রসন্ন সময় আকাশ একটা আমারও ছিলো ভীষণ ক্ষুধার্তের মতো খুবলে খেয়েছে তাকে সময়, দিনান্তে তাই নিঃস্ব ও বিষণ্ণ বোধ হয় অথচ কস্মিনকালে কেউ শোনেনি এমন হিংস্রতার গল্প বাইরে বিবর্ণ সব, ভিতরে সন্ত্রস্ত বসবাস খুব অচেনা তাদের মুহূর্তান্তরে বদলে যায় স্বজন, নির্ভরতায় আকাক্সিক্ষত স্বর, যদিও এটাই চলমান নিয়ম, এ সব বলে আশ্বস্ত করেন কেউ কেউ গোছানো জীবন বারবার ভাঙে পলকা বাতাসে বহু যত্নে সাজানো সমস্ত উড়ে যায় আমের বোলের মতো নিঃশব্দে নিমেষে হতে পারে, আদতে ছিলো না কোনোদিন, কেবল মরীচিকার হাতছানি হয়তো তাড়িয়ে বেড়িয়েছে উপত্যকার উপরে এবং নিচে প্রান্তরে প্রসন্ন মুখচ্ছবি কোনোদিন অথচ দেখিনি ভারী চীৎকারে কেবল মিইয়ে গেছি কিংবা অসন্তোষের প্রবল প্রকাশে লুকিয়েছি নিজের ভিতরে নিজে দৃঢ় খোলের বয়সী কাছিমের মতো পড়ন্ত বিকেলে যুদ্ধে পরিশ্রান্ত, বিধ্বস্ত আহত সৈনিকের মতো একান্ত উঠোনে ধীর লয়ে জমানো কষ্টের ধারাপাত পড়ি, পেছনে সময় আমি একা নিউইয়র্ক

    আনিসুর রহমান অপু/Anisur Rahman Apu

    আছে কিছু পিছুটান দুপুরের ডাকে আজ এসেছে সে অতিথি রোদ্দুর এসেছে সে অনবদ্য উষ্ণতার নিরন্তর খামে ঘামে-প্রেমে মেখেছে প্রথম খাজুরাহ মুগ্ধতায় অজন্তা ও ইলোরায় হেঁটেছে দুরন্ত হাত ধরে অন্তরঙ্গ, পাশাপাশি, ঢেলেছে সে সান্নিধ্যের সুর আমাদের পরিযায়ী ডানায়—যেখানে নানা নামে জমেছিলো দীর্ঘতর হিম আর সোনার থালায় ছাই দেয়া প্রবঞ্চনা। কাঙ্ক্ষিত আগুনে ধুয়ে সব এনেছে ফিরিয়ে ফের কলবর—কাব্যের মঞ্জরি যাপনে প্রসন্ন—জলাবদ্ধ—স্রোতের গার্হস্থ্য গান বিশ্বাসী ব্যঞ্জনা আর শরীরের প্রতিটি প্রান্তরে শুদ্ধ শিহরণ কবিতার কল্লোলিত অনুভব; তবু সব ভুলে, এই শীতে, ভীরু জীবনের ঘড়ি বেয়ে উঠি, কারণ সেখানে আছে কিছু পিছুটান। নিউইয়র্ক

    তুষার প্রসূন/Tushar Prasun

    জলের পাণ্ডুলিপি স্রোতের সম্ভাবনা থেকে উড়ে যাচ্ছে, ভেসে যাচ্ছে, গড়িয়ে পড়ছে জল। আর আমি পড়ে যাচ্ছি জলের পাণ্ডুলিপি। সেই সাথে শ্যাওলা পড়ছি, মাছ লিখছি, মাছের চোখে চঞ্চলতা শিখছি, আঁকছি বায়বীয় বিদ্যা নিয়ে জলের চলে যাওয়া। চোখের ভেতরে ইতিহাস জমা হয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল-গণ্ডুষ পেতে তা-ও জমা রাখছি। তবু বলছো আমি বসে আছি। আসলে আমি ভেসে আছি। ভালোবেসে আছি চোখের জলতরঙ্গ। যেখানে বাসা বেঁধে আছে মেঘ, বৃষ্টি আর যত জলের অনুষঙ্গ। ঢাকা

    শিবলী শাহেদ/Shiblee Shahed

    দৃশ্য-উপদেশ শরীরের দেশে কোনও সোজা রাস্তা নেই। তাই তোমাকেই লিখে দিলাম বিক্ষিপ্ত যাতায়াতের নিয়মকানুন। হেঁটে হেঁটে তুমি চলে যাও সুষমার আলোকাভিজানে তুমি ব্রতচারিণী করে চলো আরো কোনও প্রাজ্ঞ ধ্যানের নির্মাণ। তোমার ঠোঁট থেকে, চিবুক থেকে পতনমুখী দৃশ্যের বিহ্বলতা লেগে যাচ্ছে নাভিমূলে। বুকের ভাঁজে আলোক-বরফ—সেও গড়িয়ে পড়ছে অস্থিসন্ধিতে। সুতরাং এখনই সময় দেখে নাও কত বিক্ষিপ্ত পথ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে আরো কত পথ! কোথাও যতিক্লান্তের রেশটুকু নেই। শেষটায় আছি আমি অনূদিত গাঙ্গের অববাহিকায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে... দু’একটা পানকৌড়ির সাথে খসে পড়া দৃশ্য দু’হাতে ধরবো বলে... নিখোঁজ লবণের ডাকে সমুদ্র তোমারই জলীয়-রূপ, আংশিক রূপান্তর মাত্র। পঞ্চশরে দগ্ধ হয়ে একদিন আমিও সমুদ্রে নেমে যাবো। আর দেখবো তলিয়ে যাওয়ার ভিতর আছে নাকি অতলের সুখ! নিশ্চয়ই এই অবগাহনের একটা শিরোনাম থাকবে। কোন্ ভাষায় সেই নাম হবে—তুমিই ভেবে ঠিক করো। শিরোনাম নিয়ে ভাবতে ভাবতে দেখবে রাতের বাতিঘর থেকে আলো ঠিকরে বেরুচ্ছে, তোমার শরীর থেকে খুলে খুলে পড়ছে দেহের বাকল। হয়তো বুকের গভীরে কোথাও লোনাজলের ডাক শুনতে পাবে কিংবা কোনও পরিচিত ঝড়ের আগামবার্তা পেয়ে দিশেহারা হয়ে যাবে। আর জেনে যাবে—কীভাবে আমি পর্যায়ক্রমিক উজানভাটির টানে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি সমুদ্রের ভিতর। ঢাকা


Find us on Facebook


Back to Issue 67_68
Back to Front Page Send Your Feedback
Shabdaguchha, an International Bilingual Poetry Journal, edited by Hassanal Abdullah