|
Contributors:
Poetry and Essays:
Anisur Rahman Apu
Ariful Islam
Basudhara Roy
Bill Wolak
Bishnupada Ray
BZ Niditch
Derek Walcott
Hassanal Abdullah
Jahanara Parveen
Jyotirmoy Datta
Louisa Calio
Maria Bennett
Masudol Hassan Rony
Michael Graves
Naoshi Koriyama
Naser Hossain
Naznin Seamon
Nicholas Birns
Octavio Paz
Pallav Bandyopadhayay
Sonali Begum
Stephanie McMillan
Swapan Majhi
Shabda News:
Bhuiyan Ahasan Habib
Letters to the Editor:
Azad Kashmir Zaman
Belal Beg
Bill Wolak
Leigh Harrison
Lidia Chiarelli
Louisa Calio
Michael Graves
mike graves
mike graves
Rudranath Banerjee
Saidur Rahman Milon
Tahmidul Islam
Zakir Sayed
Cover Art:
Mia Barkan Clarke
|
|
বাংলা কবিতা
নাসের হোসেন
বাজার
মেঝের উপর দিয়ে ছুটে চলে গেল মেঠো ইঁদুর
মাহনগরের এই এতো উঁচু বারান্দায় এরকম ঘটনা
ভাবতেই পারা যায় না, এখানে সবকিছুই এতো
ঝাঁ-চকচকে, দূর থেকে পৃথিবীর বাড়িঘর সব
ছোটো ছোটো মনে হয়, এইখানে সূর্যোদয় এবং
সূর্যাস্তর দৃশ্য একেবারেই অন্যরকম ঐশ্বর্যময়
এই সুপারমলে মানুষজনেরা আসে, বিশ্ববাজারের
কেনাকাটি সারে, তারপর বাড়ি ফিরে যায়, একটা
ধূসর বর্ণের মেঠো ইঁদুর ধীরে ধীরে এসে দাঁড়ায় রেলিংয়ে।
কলকাতা
সোনালি বেগম
ক্যাম্পেন
ভোরের বৃষ্টিতে ভিজে উঠছে শহর বহুতল ঘর
খবরের কাগজ
শূন্য তো কিছুই নেই
কখনও ছাই কখনও ফুলের সুবাস মাখা পথ।
অগ্নিদগ্ধ ক্ষত যাপন যেমন-তেমন
জালে দৃশ্যমান অবিচল চক্র ও বেগ
সাইড ইফেক্ট জেনে আতঙ্কিত ব্যালান্স
টক্সিন চিনে নিয়ে জরুরি কুঠার-আঘাত।
কবরস্থ নয় ‘মাস্ মুভমেন্ট’
‘টোটাল রিভোলিউশন’ ক্যাম্পেন।
পাহাড় চিরে নদী গড়িয়ে পড়ছে পাথর
স্নান সারে ফুল ও সুগন্ধ চন্দন।
‘সোসাল মুভমেন্ট’, ‘হাঙ্গার স্ট্রাইক’, ‘ফান্ডামেন্টাল রাইটস্’
চলমান ধারাটি জড়িয়ে প্রতিদিন যুদ্ধ-মুখোমুখি
ঘাসের গালিচায় কথোপকথন অঙ্গীকার প্রবাহ...
দিল্লী
আনিসুর রহমান অপু
মন্বন্তরের মরা মাঠ
আমাদের জানা ছিলো না নোঙরের নৃতত্ত্ব কিংবা
ঠিক কোথায় থামতে হয় অথবা ঝিলাম নদীর রাজহাঁসেরা
যেভাবে জলের খাঁদ ফেলে দেয় দুধ খেয়ে।
দৃশ্যমান বাস্তবতা পাশ কাটিয়ে অথচ জড়িয়েছি
অসংখ্য শেকড়ে। আর নখ লুকোনো অন্ধকারের সাথে
যখন গেয়েছি চন্দ্রগীত, তখনো নিজেকে
ভেবেছি পূর্ণাঙ্গ জোছনার উত্তরাধিকার।
এবং সর্বভূক অমাবশ্যা আমাদের বুকের চাতালে
গড়ে তুলেছে দুরন্ত লোভের প্রযুক্তি। আমরা অনবরত
কথা বলে গেছি বিরহবান্ধব কবিতার সমবেদনায়
আর তারা আমাদের পাখনার আবডালে
সংগোপন ভ্রষ্ট ব্যাকরণ—
যে কৃষক কর্কশ শীতের শত্র“তা, গ্রীষ্মের দ্রোহ, আর
শ্রাবনের সর্বনাশ খুঁড়ে ছড়িয়েছে সোমত্ত শুক্লার
প্রতিভাবান জোছনা—চানক্যের চাতুরতায় সে
এখন মন্বন্তরের মরামাঠ। সে এখন
নিজের ভেতরে পোষে দগদগে জ্বালামুখ
পানাপুকুরের সম্বোধনহীন নীল জলে রোজ তার
বাধ্যগত নাওয়া-খাওয়া। এমনকি খরার খোলনালচে
বদলে আবার শুরু থেকে শুরুর শিরোনামেও
নানারঙ উপাচার। চারপাশে তার
ঘিরে থাকে অমীমাংসিত বেষ্টনি।
আদর আখ্যান
কিছু আদর জড়ানো ছিলো পায়ে; সে প্রথম প্রগাঢ় প্রত্যয়ে
নির্বাসিত মৃত্যুর মন্থন থেকে অঙ্কুরিত আশাবাদ—
কিছু দাওয়ায়, কিছু ঝুলবারান্দায় পড়ে পাওয়া নির্জনতায়,
কিছুটা হেঁসেলে, ঘামসিক্ত শরীরের সঙ্গোপন
শাহবাগে সেইসব জাগরণ—যথারীতি আমাদের
শরীরও জাগে। জাগে প্রেম বিস্তারিত উপোসী সড়কে
যেখানে ভালোবাসার বর্ণাঢ্য ইশতেহার। ইস্ত্রির উত্তাপে
গনগনে লাল চেরী, চকিত চাঞ্চল্যে চাঁদের একক—
আমাদের মুখে বা মুঠোয় ছড়ায়ে জোছনা
আর চাঁদ সুযোগ্য শুক্লার গোণে দিন।
যদিও সারাটা পথ সেঁটে থাকে সনদের
তৃতীয় শাবক, তবুও হরিণী বাঘেদের হিংস্রতা মাড়িয়ে
খোলা হাওয়ার দৃপ্ততায় আমাদের ঘাড়ে ও গলায়
রেখে যায় স্বতন্ত্র সুন্দর প্রেম। শেকড়ে লতানো রাত
অবিশ্বাস্য আগুনের সংবর্ধনায় নদী ও নারীর
নিবেদন। আমাদের নিঃসঙ্গ শয্যায় তার
অবগাহনের ঘ্রাণ। তার সান্নিধ্যের সোনালি উষ্ণতা
নিয়মের নিধিরাম চোখ ফাঁকি দিয়ে রুয়ে যায়,
ভালোবাসার বিচ্ছুরিত আলোয় জন্ম নেয়
বিনম্র সন্ধ্যার সেই বিমুগ্ধ প্যাটার্ন;
পৃথিবীর টানে ধাবমান নক্ষত্রের
মুহূর্ত মাধুরী;
অনেক আলোকবর্ষ ধরে বয়ে যায়,
কবিতার ক্যানভাসে জেগে থাকে প্রমিত পোর্ট্রেট।
নিউইয়র্ক
পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়
তুই ঘুমিয়ে থাক শর্মিলা
শর্মিলা আমি এখন
শ্মশানে দাঁড়িয়ে আছি
তোদের বাড়ীর পাশের বাড়ীর
দাদু;
বিস্মৃতি ভালো
স্মৃতি খুঁজলে তোর দেওয়া
চিহ্নের দিকে চেয়ে আছি
ঘুমহীন
স্বপ্নহীন
রাতজাগা আমি এখন
সজাগ শ্র“তি তোর প্রস্তাবে খুঁজে যাচ্ছি
প্রসারিত চোখ দুটো শুধু তোকেই খুঁজে যাচ্ছে
এখন রাত গভীর
তুই ঘুমিয়ে থাক শর্মিলা
আমি ভীড়ের মধ্যেও সেই একলা।
শীত নিঃশব্দে জলে যাচ্ছে
জেব্রা ক্রসিংয়ে থমকে দাঁড়ানো
ওষুধ ঘেরা বয়স
চিন্তার রেলিংয়ে বিষন্নতার রোদ
মধ্যরাতের রিংটোন বন্ধঘর কাঁপানো
রক্ত শূন্য মুখ
আয়নাতে এঁকে যাচ্ছে বিসর্গের বোধ
একটার পর একটা মাইল ফলক টপকে যাচ্ছে
লেলিহান আগুন চিতাকাঠ হাতচানি দিচ্ছে
শর্মিলা শীত নিঃশব্দে চলে যাচ্ছে।
হাওড়া
আরিফুল ইসলাম
মৌমিতা সেনরা সেদিন সংখ্যালঘু ছিল না
কোন এক রাতের গল্প।
গ্রীন রোডের ১০১ নং বাসার গেট।
কালো চাদর আর শর্টগান আমার শরীরে—
প্রিয় সহযোদ্ধা তামাল, ওর আদরের ছোট বোন মৌমিতা সেন;
আমার ঠিলেঠালা শরীর দেখেই বুঝে ফেলত।
অথচ সেদিন,
আমার প্রবেশ তমালের চোখে ধরা পড়েনি
ধরা পড়েনি মৌমিতা সেনেরও!
দ্বিতীয় দরজায় পাশেই হেলান দিয়ে—
বোবার মত দাঁড়িয়ে ছিল তমাল।
মৌমিতা সেন!
ভগবানের ডাকে তখনো সাড়া দেয়নি!
টলটলে ফুলের মধু লুটেছে বিষাক্ত মৌমাছির দল।
মেঝেতে পড়ে থাকা তার অর্ধনগ্ন—
দেহটা আমি প্রথম স্পর্শ করি;
ও লজ্জায় লাল হয়নি, “তুমি দারুণ বেহায়া”
এমনটিও বলেনি আঙুল উঁচিয়ে।
যৌবনে ভরপুর নিথর দেহটা
আমার কোলে সপে দিয়েছিল।
অনুভূতিহীন এই আমি;
কাকা আর কাকিমার গুলিবিদ্ধ দেহে
দেখেছি বাংলার লাল সবুজের মানচিত্র।
তমালের পাঁজর ভাঙ্গা শব্দ শুনিনি আমি! শোনেনি কেউ।
মৌমিতা সেনরা সংখ্যালঘু ছিলনা।
তবে এরা কারা? সংখ্যালঘু কারা?
জামালপুর
Find us on Facebook
|
|