Shabdaguchha: Logo2 edited by: Hassanal Abdullah issue: 59/60








    Contributors:


    Poetry and Essays:

    
    Hassanal Abdullah 
    Roni Adhikari 
    Kayes Ahmed 
    Rassel Ahmed 
    Chak Amitava 
    Pallav Bandyopadhayay 
    Stanley H. Barkan 
    Nicholas Birns 
    Jyotirmoy Datta 
    Jyotiprakash Dutta 
    Caroline Gill 
    Nirmolendu Goon 
    Clinton Van Inman 
    John McLeod 
    Manas Paul 
    Matin Raihan 
    Hasan Sabbir 
    Naznin Seamon 
    Amiyakumar Sengupta 
    
    


    Letters to the Editor:
    Maria Bennett 
    Laura Boss 
    Stephen Cipot 
    Joan Digby 
    John Digby 
    Arthur Dobrin 
    Kristine Doll 
    Maria Mazziotti Gillan 
    Adel Gogy 
    Mary Gogy 
    Mike Graves 
    Leigh Harrison 
    Yvette Neisser Moreno 
    Marsha Solomon 
    Tino Villanueva 
    Bill Wolak
    
    


    Letters to the Editor:
    Babette Albin 
    Chandan Anwar 
    Mansur Aziz 
    Laura Boss 
    Rumana Gani 
    David Gershator 
    Caroline Gill 
    Isaac Goldemberg
    Zahirul Hasan 
    Omar Faruque Jibon 
    Gholam Moyenuddin 
    Hasan Sabbir 
    Subir Sarkar 
    Tabrish Sarker 
    Bikul Hossain Rojario
    
    
    


    Cover Art:

    Ekok Soubir












Shabdaguchha: The 15th Anniversary Issue


    Poetry In Bengali/বাংলা কবিতা

    মতিন রায়হান

    দরিয়াগাথা

    আবার এসেছি ফিরে বাহুলগ্ন জীবনের তীরে
    অদ্ভুত বোধেরা নাচে ধীরলয়ে ইশারা-ভাষায়
    কারা খোঁজে আঁতিপাঁতি খররোদে মানুষের ভিড়ে
    জীবন-নদীর ঢেউ দৃশ্যময় তুমুল আশায় ...

    মাছরাঙা ঠোঁট নেড়ে উড়ে গেলে জলস্থল কাঁপে
    শুশুকের পিঠ ভাসে থেকে থেকে অবাক রোদ্দুরে
    জাল বোনে জেলেবউ, জেলেরা জলের সীমা মাপে
    দখিনা তুফান এলে কাঁপে খুব নদীতীর—দূরে!

    জলের সীমান্তে কারা যায়, ও দরিয়া খোঁজ রেখো
    আকাশে উতল মেঘ, শঙ্কাদৃশ্য—ভয়ে ভয়ে থাকি
    বদর-বদর জপি, বুক কাঁপে দুরুদুরু দেখো
    উজানে-ভাসানে নাও, রাশি-রাশি শূন্য-ওড়া পাখি

    আবার এসেছি তীরে মায়াময় শস্য-ভরা নাও
    পরান পাখিরে ডাকো, উজাগর প্রাণ খুলে গাও।

    ঢাকা


    রাসেল আহমেদ

    গুহাচিত্র

    গুহায় দীর্ঘকাল...

    বল্গা হরিণে মাংসের স্বাদ; অন্য মন্ত্রসিদ্ধ
    আগুন দেখে তার আঁচে রান্না—
    কেটে যায় প্রেম আর অপঙক্তির সুদীর্ঘ বৎসর...

    পুরাতাত্ত্বিকের ফসিল তত্ত্বরচনায় মত্ত...
    আমাদের রহস্যের চাবির আওয়াজে তখন
    মুচমুচে বিস্কুটের সুদীর্ঘ ঘ্রাণ; এক বাসে বসে
    অন্য বাসের কারো হাতের পত্রিকা
    লুকিয়ে পড়ে ফেলার হীনমন্যতায় কেটে যায় দগদগে দিন


    ম্যাজিক

    রাজহাঁসের ডাকের মত তীক্ষ্ণ শব্দে খুললো লোহার দরজা
    ঘরোয়া দড়িতে কালো একথোক ঝুলন্ত মেঘ দেখে
    আগন্তুকদের মধ্যে কেউ একজন সোল্লাসে চেঁচিয়ে উঠলো, দারুণ ম্যাজিক!

    তোকে বলি, কাঁটাতার দেখা যায় এবং বোবা প্রেত
    পাহারায় নত, সুতরাং আচমকা হেঁটে না গেলেও হয়।

    বইয়ের পাতায় জমা বরফের ইতিহাস এবং জ্বলন্ত দেশলাইয়ের অভ্যন্তরে
    তোকে দেখতে দেখতে
    তোর আদরণীয় বাদামপাপড়ির শরীর মুখে ছড়িয়ে নিই

    ম্যাজিকের দূরত্ব পথ তৈরী করে না, করে কিছু অব্যবহৃত চোখ

    ঢাকা


    রনি অধিকারী

    নারীর নাম নদী

    এই পথ মিশে যায় নদী জল অথৈ সমুদ্দুর
    সূর্যালোকে জলস্তম্ভ যেন এক পাহাড় প্রাচীর।
    প্রশ্নের শাসন ভাঙে অতঃপর ছুটে চলে ভয়
    তবু ভয়ে বুক কাঁপে কেন যেন মানে না শাসন।
    সব কিছু মনে হয় পড়ে আছে অজ্ঞাত আড়ালে
    অচেনা বাতাস ছোঁয় সাঁই সাঁই শরীরের ভাঁজ...
    মায়াবী চোখের জলে জন্ম নেয় অপলক নদী
    জলকষ্ট জলমেয়ে আহারে নারীর নাম নদী।


    একটি উজ্জ্বল ঘোড়া

    পায়ে হেঁটে ক্রমাগত রাতের আকাশে
    সবুজ মেঘের সিঁড়ি বেয়ে
    একটি উজ্জ্বল ঘোড়া নেমে এলো বুঝি!
    ক্রমশ ঘোড়াটি নাচে চোখের গুহায়।
    ভীষণ প্রলুব্ধ ক’রে অশুভ আত্মারা
    অন্ধকার অক্টোপাসে মৃত্যু বাসা বাঁধে...
    মধ্যরাতে অশ্বক্ষুর দ্বন্দ্বে নিরন্তর
    জলন্ত চিতায় দেখি মৃত্যুর নোঙর।


    শূন্য থেকে শূন্যতায়

    সমস্ত শরীরে প্রার্থনার পরশ পেয়ে
    রাতকানা রাজহাঁসগুলো
    ছুঁয়েছে নিরন্তর স্তব্ধতাকে।

    জ্যোৎস্নার আড়ালে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে হাসতো
    কপোতাক্ষ জলের শান্ত সেই মেয়ে। এখন সে
    স্বপ্নের বুকে মাথা রেখে কান পেতে শোনে
    অন্ধকারে বৃষ্টির শব্দ...

    স্বপ্নীল মায়ার অবাধ চোখের সেই মেয়ে
    চেতনার চূড়ায় লাজুক নূপুর পায়ে,
    নিবিড় জ্যোৎস্নার ভেতর হেঁটেছিলো
    শূন্য থেকে শূন্যতায় ভেসে।


    সবুজ চোখের নীড়ে

    দিনের পিপাসা ছেঁড়া অবরুদ্ধ এক স্বপ্নচারী
    সবুজ চোখের নীড়ে বাস করে আলোর কিশোরী।
    অনাবিল স্বপ্ন গাঁথে আলোকিত শুভ্র জোছনায়
    কুয়াশার আবরণে অহর্নিশ সবুজ ছায়ায়।
    ঘুমের তলায় শুয়ে শরবিদ্ধ যন্ত্রণায় কাঁদে
    যাতনা জীবন ঠেলে ফিরে ফিরে যায় শূন্য চাঁদে।
    বিধাতার অভিশাপে পুড়ে যায় আলোর শহর
    অতঃপর শূন্যে ঝোলে বেদনার বিবর্ণ প্রহর।


    রাত্রির কাছে খোলা চিঠি

    রাত্রি, অনন্তকে ছুঁয়ে যাও
    হাত ধরো স্পর্শ করো অবয়ব।
    বৃষ্টিতে স্নান করো, অসুস্থ হও...
    অরক্ষিত অন্ধকারে ভেজা পথ ধরে হাঁটো
    গভীর মমতা নিয়ে প্রণতি জানাও প্রকৃতিকে,
    চৈতন্য সত্তায় ফিরে পাক তোমার আকাঙ্ক্ষা।

    প্রেমে তথা তীব্র বিষে তুমি নীল হও...
    জানি, তুমি হতে পারো নীলাভ নিখিল নীলকণ্ঠ,
    আমি তখন বাঁচার স্বপ্ন দেখি ক্রমশ, প্রগাঢ়।

    ঢাকা


    মানস পাল

    ছবিতে বাড়ির সিঁড়ি

    এই সিঁড়ি ঠিক মনে পড়ে না।

    ছায়াচ্ছন্ন বিকেলও যেনো অনর্থক উদ্ভাসিত
    আতা গাছের অবস্থানও যেনো কিছুটা বানানো।
    এ সবই ফেলে আসা বাড়ি
    এ সবই ফেলে আসা রথযাত্রা
    এই রাস্তা যেনো কারো
    ভুল ভালবাসায় হারিয়ে যাওয়া ভুল পথ।

    এই বাড়ি সেই বাড়ি নয়
    তাই ভুল দরজায় কড়া নাড়ি
    যে দাঁড়ায় এসে সে তুমি নও

    ভুল সিঁড়ি ধরে নেমে আসি ফের
    ভুল বাসষ্টপে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি—
    আরেক গন্তব্য ডাকে।

    সুইডেন


    অমিয়কুমার সেনগুপ্ত

    অডিটারি হ্যালুসিনেশন

    অডিটারি হ্যালুসিনেশনে ভুগছো নিবারণ! তাই ভাবছো
    ঈশ্বর তোমার কানে মন্ত্র দিয়ে যাচ্ছেন। আর সে-কারণেই
    সেই মন্ত্র-পালনে বশংবদের মতন, রোবটের মতন
    যা খুশী তাই করে যাচ্ছো।
    ঈশ্বরের মন্ত্রপুত নির্দেশেই
    কারো গায়ে থুথু দিচ্ছো, কাউকে অশ্রাব্য গালাগাল করছো,
    কাউকে বা মারতে উদ্যত হচ্ছো অথবা মারছো।

    নিজেরও তো ইঞ্জুরি হচ্ছে তোমার!
    কখনো বক সাজতে গিয়ে ঘাড়ে আঘাত পাচ্ছো,
    কখনো বা হরিণ সাজতে গিয়ে মাথা ফাটাচ্ছো নিজের।

    নিজের যা হচ্ছে হোক। কিন্তু যাদের প্রতি তোমার এই আচরণ
    তারা তো আর ঈশ্বর-দত্ত মন্ত্র পায়নি যে
    তোমার ওই আচরণ মেনে নেবে।
    ওরা তো ইনসেন্ নয়, লুনেটিক নয়!
    রেজিষ্টার্ড সিজোফ্রেনিক রোগীও নয়।
    ওরা মেন্টালি অ্যালার্ট। তাই প্রত্যাঘাত করছে তোমাকে।
    তা কি তুমি ঈশ্বরের কানে তুলে দিতে পারছো?

    পারছো না। পারবে না।

    আসলে, ঈশ্বর-ফিশ্বর কিছু নয়। তোমার মাইন্ডটা,
    তোমার ব্রেনটা স্বাভাবিক ভাবে কাজই করছে না।
    এক আধ বার তাকেও তো বলতে পারো,
    শালা, তোকে পেলে একবার দেখে নিতুম। তুই-ই যতো
    নষ্টের গোড়া। তোর জন্যে দড়িকেও সাপ দেখছি,
    অথচ তোকে এক মোমেন্টের জন্যেও দেখতে পাচ্ছি না।

    কলকাতা


    পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়

    বেড়ে ওঠা মেয়ে

    ঘুমহারা চোখে মা-পাহারা দেয়
    সদ্য ওঠা স্তনের বোঁটায়, কুকুরের খুনসুটি
    গুহামানবের দল লাল বেদানার রঙের চোখ নিয়ে
    ছোটাছুটি করছে এদিক থেকে ওদিক...
    অপেক্ষার রাত কবে শেষ হবে
    আসক্ত বিছানায় লেখা থাকবে অন্য পদবী

    ঋতু চক্রের বেয়াদব পাড়া টপকে
    কালি মন্দিরের আর্দ্র আত্মা স্পর্শ করে
    অভাবের থিকথিকে স্যাঁতস্যাতে ফুটো-দেয়ালের
    হাঁ-গর্ভে শুধু আতঙ্ক—;

    বেড়ে ওঠা মেয়েটিকে নিয়ে মন্দির থেকে ফেরার পথে আক্রমণ!

    দীর্ঘ রেখায় আঁচড়ের রক্তপাত লজ্জার চরণামৃত দিয়ে
    শরীর ধোয়া আস্ফালন উষ্ণ প্রস্রবনের পোষাকে
    চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসে কান্নার বন্যা—

    সহজেই জেব্রাক্রসিং টপকে যায় গায়ে গা লাগিয়ে কয়েকজন...

    কলকাতা


    অমিতাভ

    বহুদিন ধরে

    বহুদিন ধরে চেষ্টা করছি, তোমাকে
    সোজা-সাপটা বলবো:
    কেমন থাকছো আজকাল
    চীনে কম্যুনিস্টরা পুঁজিপতি
    তা নিয়ে কী ভাবলে
    বা, তিন হাজার পেরিয়ে চার হাজার কোটি ছুঁতে চললো
    এবারকার খেলার বয়স
    কী ভাবছো তার শেষ ধামাকা সম্পর্কে
    কিম্বা...

    যাকগে, তালিকা বাড়িয়ে লাভ নেই, বসো
    বলো তো বরং সত্যি সত্যি
    কবে নামাচ্ছো নিরাময় বটিকা
    শীঘ্রপতনের।

    মেয়েগুলো যে শুধু শুধু ছত্রাক হয়ে রইলো।

    দিল্লী


    হাসানআল আব্দুল্লাহ

    স্বতন্ত্র সনেট ১৮৬

    শুক্রবার গত হলে আমিও উড়াল দেবো আকা-
    ঙ্ক্ষার সমানুপাতিক। হারাবার নেই কিছু, আছে
    শুধু স্মৃতির তাড়না─ট্রেনের ভেতরে দেখা আলা-
    ভোলা মুখ; জানা কিম্বা অজানার মোহাবিষ্ট স্রোত।
    শশব্যস্ত বিদেশী বিড়াল, পেরিয়ে গাড়ির চাকা
    ঘরমুখো; আদিগন্ত বরফের চাঁই, গাছে গাছে
    ঝুলে থাকা তুলো তুলো ক্ষণস্থায়ী তুষারের মালা।

    এ মাটিতে জন্ম দেয়া আমার সন্তান─যার নাড়ি-
    নক্ষত্র গ্রথিত বহুবিধ শিকড়-বাকড়ে, রক
    মিউজিকে যদিও আসক্ত নয়, পাগল ক্রিকেটে─
    এছাড়াও রেখে যাবো বন্ধুদের সাথে ওতপ্রোত
    রাত জাগা আড্ডা-আয়োজন, এতোটা বছর পাড়ি
    দেয়া শহরের গলি বেয়ে চলা সরব সড়ক;
    ব্যস্ততা-দুশ্চিন্তা-প্রেম ঝরে পড়া পাতার পকেটে।


    স্বতন্ত্র সনেট ১৮৭

    বোধের বহির-বিশ্বে বিবিক্তির গাঢ় অন্ধকার
    পা দু’খানা শক্ত করে দাঁড়িয়েছে সুসম্পন্ন সুখে;
    পরিপূর্ণ রূপ তার অনাদায়ী স্বপ্নের সেবায়
    অতর্কিতে সুসজ্জিত স্বোপার্জিত সান্ত্বনার বাঁকে।
    ঘোরাক্রান্ত মানুষের রৌদ্রদগ্ধ অসুখী আকার
    একে একে সমর্পিত, কেউ কেউ যদিও হুজুগে
    সঙ্গমের হাঁটুমোড়া বর্শালিপ্ত ক্রন্দন নেভায়!

    দেখাদেখি জমা হয় ক্লেদাক্ত কাদার সমতুল
    কুয়াশার যথাযুক্ত ক্ষুধার্ত মাতাল আস্তরণ,
    সন্ত্রস্ত সন্ত্রাসে আনে সমধিক রিক্ত বিভীষিকা;
    বাজপাখি ঠোঁট রাখে মধুযুক্ত মৌমাছির চাকে।
    পৃথিবীর একপাড়ে শুদ্ধ কথা অন্যপাড়ে ভুল,
    যেখানে বাঁচার আশা সেখানেই অযথা মরণ,
    খাঁচায় আবদ্ধ দিন সংক্রামক রাত্রির ভূমিকা।


    স্বতন্ত্র সনেট ১৮৮

    এমন পশুত্ব থেকে বেরিয়ে আসার সামাজিক
    সংবিধান নেই লেখাজোখা। অতএব আমি তাই
    গরুর গোয়ালে বসে খড় বিচালির বুনো স্বাদে
    নিজেকে সম্পৃক্ত করি। নিজের আয়ত্তে নিতে থাকি
    যতোটা সম্ভব। হিংসা-দ্বেষ-গ্রিডিনেস প্রত্যাহিক
    জীবনের অংশ করে গন্ধযুক্ত গোবরে ঘুমাই।
    ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে সারাদিন পড়ে থাকি খাদে।

    আমরা পশুই বটে। আমাদের নানাবিধ কাজে-
    কর্মে স্পষ্ট প্রমাণিত পশুত্বের সফল চেহারা।
    নিজেতেই তৃপ্ত থাকি, যদিও দুর্লঙ্ঘ হাহাকার
    চারিপাশে মানুষের─ক্ষুধার্ত, সন্ত্রস্ত, আনলাকি;
    ভীতি, লোভ, করুণার হাতছানি অসভ্য সমাজে─
    অন্নহীন, বস্ত্রহীন, রোগাক্রান্ত, ক্লিন্ন সর্বহারা─
    তবুও অভ্রান্ত নীতি নিজেতেই গুটিয়ে থাকার।


    স্বতন্ত্র সনেট ১৮৯

    শিরোনামে দিয়েছি সাঁতার আনন্দের বিভাবরী
    ধরে─জোনাকির আলো মিটিমিটি এখানে দেখায়
    হারাবার সবগুলো পথ। জানা-অজানার সাথে
    কথা হয়─তবু ভয়─গুঁতো খাই অযথা পাথরে!
    এক পথ রেখে দিয়ে পড়িমড়ি আর পথ ধরি;
    কখনোবা থিতু হই নিয়মিত কবিতা লেখায়─
    কবিতা ততোই বাড়ে, যতো বাড়ে জোনাকিরা রাতে।

    তারারাও আলো দেয়─অনুমানে যায় তবু হাঁটা─
    মেঘের ঝিলিক থেকে কখনোবা বিদ্যুতের আলো,
    কখনো বা পথচারি নিবুনিবু হারিকেনে গেলে
    সেই আলো ছিটেফোঁটা আমার পথেও কিছু পড়ে।
    সব পথ ঠিক নয়─কেউ নেয় অচিরে আঘাটা─
    কখনো এমন হয় ঠিক পথ ফিরেই তাকালো!
    তবুও প্রায়ই ব্যর্থ; কখনো সামান্য স্বস্তি মেলে।

    নিউইয়র্ক


Back to Issue 59_60
Back to Front Page Send Your Feedback
Shabdaguchha, an International Bilingual Poetry Journal, edited by Hassanal Abdullah