বাংলায় যাদের কবিতা ছাপা হয়েছে: নানজীন সীমন রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র প্রবীর দাস প্রত্যুষপ্রসূণ ঘোষ কবির হুমায়ূন শিমুল সালাহ্উদ্দিন রাসেল আহমেদ আলোড়ন খীসা মোস্তফা ইকবাল মুহাম্মাদ হাসান ইমাম Back to Issue 43_44 Back to Front Page |
Issue 43/44 : January - June, 2009 : Volume 11 No 3/4 নাজনীন সীমন বন্ধ দরজায় মাতাল কড়া নাড়ে বন্ধ দরজায় মাতাল কড়া নাড়ে, আঁছড়ে ভেঙে যায় কঠিন শব্দরা। অস্থি মজ্জা ও গভীর হাড়ে হাড়ে ব্যথারা বেড়ে চলে--একানুবর্তিতা-- এবং কড়া নাড়ে বন্ধ দরাজায় হাত পা ছুঁড়ে মারে ভীষণ ভঙ্গিতে ভাসিয়ে চারপাশ অমোঘ সঙ্গীতে ছোঁয়ায় কস্তুরী নিমেষে চলে যায়। শুকনো পাতাগুলো বাতাস চুলকায়; সাগর ডেকে যায়, পাহাড়ে উদ্বেগ। দু'হাতে কেন তবু আমাকে ধরে রাখো আকাশে ঝড় ওঠে তারারা ছলকায়? কলসী ভরে তলো নিজের কুয়ো থেকে অথবা হেঁটে যাও পাহাড়ী ঝরনায়; দু'চোখে খুঁজে নাও যদিবা ক্ষুধাতুর-- নতুবা কাগজেই কলম পিষে যাও। মাতাল কড়া নেড়ে বন্ধ দরজায় দূরের ডাক আসে, আমাকে ছেড়ে দাও। নিউইয়র্ক রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র বন-ফায়ার এত মৃত্যুর পরও ঈশ্বরের সাথে আমাদের ঘুমোতে হয় নক্ষত্রের বনে; তুলসী আর আফিমের জঙ্গলে, হ্রদের এপাশে রক্তাক্ত ফিলিস্তিন! পানিতে ভাসছে ইসরায়েলি শিশুর লাশ... রক্তে রঞ্জিত ছত্রপতি শিবাজি স্টেশন, হোটেল তাজ; বাতাসে বুনো বৃষ্টির গন্ধ, পাথরের উপত্যকায় নিজের কফিন খুড়ছে আফগানিস্তানি যুবক, নিহত নেশায় ডুবে আছে তার ধর্মান্ধ চোখ! এখনো ঈশ্বরের শুভ্র আয়নায় দেখি--ঊনিশ শ' একাত্তর, ২৫ মার্চ-কালোরাত, যে রাতের উৎস ছিলো গাঢ় অন্ধকার...এতো ধ্বংসের পরও ইতিহাস খুজে যেতে হয়, সেই পুরোনো ঈশ্বরের সাথে, ত্রস্ত পায়ে, ঘুম আর নগ্নতার বনে--এত দ্রোহের পর, এত অন্ধকার রাতের শোকার্ত মিছিলের ডাকে, অবাধ্য কুকুরের মতো নিজের উঠোনে জ্বালিয়ে রাখতেই হয়: প্রতিশোধের সোনালি আগুন। ময়মনসিংহ শিমুল সালাহ্উদ্দিন জীবিতকালের গান কল্পশক্তিহীন অন্ধকার নারী শরীরের চেয়ে কাম্য সহোদর-বুক-লগ্ন-ঘুম নিঃসাড় চুমু দিয়ে বিশাখা ভাবনা জাগে আঁধারের বিভোর অনুসরণ; সোনার জলের মতো ছড়িয়ে বিছিয়ে থাকা সকালের তুলে রোদ-- তেলহীন প্রদীপের শেষ কম্পন! মনে পড়ে যায় বিগত রাতের তীব্র অন্ধকার ক্রমাগত বর্তুল ভজনা লীলা চুপ কানলগ্ন ফিসফিস-- 'জ্বালাতে চাই যতোবার আলো নিভে যায়; এই বীজানু-জীবনে তোমার আসন গভীর অন্ধকারে।' জাহাঙ্গীরনগর প্রকাশিত অন্যান্য কবিতাগুলো মূল পত্রিকায় পড়ুন... |