|
Contributors:
Poetry and Essays:
Hassanal Abdullah
Roni Adhikari
Kayes Ahmed
Rassel Ahmed
Chak Amitava
Pallav Bandyopadhayay
Stanley H. Barkan
Nicholas Birns
Jyotirmoy Datta
Jyotiprakash Dutta
Caroline Gill
Nirmolendu Goon
Clinton Van Inman
John McLeod
Manas Paul
Matin Raihan
Hasan Sabbir
Naznin Seamon
Amiyakumar Sengupta
Letters to the Editor:
Maria Bennett
Laura Boss
Stephen Cipot
Joan Digby
John Digby
Arthur Dobrin
Kristine Doll
Maria Mazziotti Gillan
Adel Gogy
Mary Gogy
Mike Graves
Leigh Harrison
Yvette Neisser Moreno
Marsha Solomon
Tino Villanueva
Bill Wolak
Letters to the Editor:
Babette Albin
Chandan Anwar
Mansur Aziz
Laura Boss
Rumana Gani
David Gershator
Caroline Gill
Isaac Goldemberg
Zahirul Hasan
Omar Faruque Jibon
Gholam Moyenuddin
Hasan Sabbir
Subir Sarkar
Tabrish Sarker
Bikul Hossain Rojario
Cover Art:
Ekok Soubir
তাঁর ঔজ্জ্বল্যে, তাঁর ক্ষমতায়, তাঁর উৎপাদন শক্তিতে আমি অভিভূত।
মহাকবি হবোই—এমন প্রতিজ্ঞা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে মধুসূদনের সার্ধশতাব্দী পরে হাসানআল আব্দুল্লাহর অবতরণ। মহাকবি দান্তে, মহাকবি মিল্টনের সচেতন অনুগামী যেমন ছিলেন মাইকেল,
তেমনই আমাদের কালে হাসানআল।
—জ্যোতির্ময় দত্ত
|
|
Shabdaguchha: The 15th Anniversary Issue
জ্যোতির্ময় দত্ত
মহাকাব্য, সনেট ও হাসানআল
বাংলাদেশ, বাংলা কবিতা, পৃথিবী, নক্ষত্র, দশক, শতক—একের পর এক সীমা যিনি অতিক্রম করে যান সেই হাসানআলকে আমার সেলাম। মাথায় এক পাহাড় চুল,
মটোরগাড়ির হেডলাইটের মতো চোখ, আর রমনার বৈশাখী উচ্চারণ নিয়ে হাসানআল আব্দুল্লাহ নিউইয়র্কে পৌঁচেছিলেন ১৯৯০ সালে। সেই থেকে তিনি কেবলই বদলেছেন,
এগিয়ে গেছেন, ঘটিয়েছেন একের পর এক নিজের জন্মান্তর। ইংরেজী প্রবাদে বলে যে বেড়ালের নয়টি জীবন, সেই অনুসারে বলা যায় যে কবিকুলের মধ্যে হাসানআল এক মার্জার,
যাঁর নখের বদলে আছে সদা গতিমান কলম। ২৩ বছরে যার প্রকাশিত হয়েছে ২৩টি গ্রন্থ। তাছাড়া ১৫ বছর ধরে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন এক দ্বিভাষিক কবিতাপত্র “শব্দগুচ্ছ”।
তিনি লিখেছেন যা সম্ভবত এ যুগের দীর্ঘতম কাব্য; তাঁর “নক্ষত্র ও মানুষের প্রচ্ছদ” মহাকাব্যের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩০৪। তাঁর ঔজ্জ্বল্যে, তাঁর ক্ষমতায়, তাঁর উৎপাদন শক্তিতে আমি অভিভূত।
মহাকবি হবোই—এমন প্রতিজ্ঞা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে মধুসূদনের সার্ধশতাব্দী পরে হাসানআল আব্দুল্লাহর অবতরণ। মহাকবি দান্তে, মহাকবি মিল্টনের সচেতন অনুগামী যেমন ছিলেন মাইকেল,
তেমনই আমাদের কালে হাসানআল।
কবিতার বিশুদ্ধ কাব্যগুণ মাপা যায় না। তা যাদু। কাব্যের আঙ্গিকের মাপজোক হয়। এদিকে হাসানআল দিয়েছেন বিশেষ মনোযোগ। বাংলা ছন্দের বিষয়ে তাঁর
আস্ত একটা বই আছে। বঙ্গ সরস্বতীকে তিনি জয় করবেন, বঙ্গ ভারতীর অঙ্গে-অঙ্গে তিনি রেখে যাবেন অক্ষয় চুম্বন, এমনই তাঁর সংকল্প। একই সঙ্গে ‘সনেট’ এবং ‘এপিক’ রচনা—এই
অসম্ভব কর্ম জন কীটস কি জীবনানন্দ করেননি। করেছেন শুধু পূর্বোক্ত মহাকবিত্রয়: দান্তে, মিল্টন, মধুসূদন। এঁদের পর ইতিহাস কি চতুর্থ নাম যোগ করবে? আমাদের কালে কি ‘মহাকাব্য’
সত্যই রচনা সম্ভব? মিল্টন কি মধুসূদনের কালেই কি মহাকাব্য রচনার প্রকল্প অবাস্তব ছিলো না? কিন্তু কবি মাত্রেই তো অসম্ভবের সাধক।
দ্বৈরথের আগে দ্বন্দ্বযোদ্ধারা যেমন তাদের দস্তানা ছুঁড়ে দেন, তেমনই প্রকাশ্যে, মহাকবিদের সঙ্গে একাসনে বসার মরণপণ সংকল্প, হাসানআল ঘোষণা করেছেন তাঁর
‘স্বতন্ত্র সনেট’ নামক গ্রন্থের ফেসবুক-পেজ প্রচ্ছদে—পাশাপাশি ছবি, বাঁ থেকে ফ্রানসেস্কো পেত্রার্কা, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, হাসানআল আব্দুল্লাহ। স্পর্ধা বটে! তাঁর কাব্যশক্তিকে শুধু নয়,
দুঃসাহসের প্রতিও সন্ত্রস্ত সেলাম! এবং প্রার্থনা করি, ইতিহাস এঁদের কাছাকাছি কোথাও তাঁর স্থান দেবে।
কলকাতা
|
|