Shabdaguchha
Sample Poetry in Bengali:
নাজনীন সীমন/Naznin Seamon চোখ বোজা সন্ধ্যা বিশ্বাস ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে চলো তুমি পেছনে কবন্ধ আমি পায়ে পা মেলাবো যতোক্ষণ পর্যন্ত না অবিশ্বাসের সুশোভনীয় স্তূপ গড়ে তোলো আধো বোজা দৃষ্টিতে; রোদ চোয়ানো দীঘল দিনের শেষে সন্দিহান সন্ধ্যায় সন্দেহাতীত সান্নিধ্য খানিকটা হিমেল বাতাস আমাদের এই বিভক্ত প্রদেশে প্রবাহিত করলেও দীপ্র সচেতনতায় বুঝে নেই ভাঙার আদতে আর কিছু নেই তোমার, গড়ার প্রসঙ্গ নিছকই অবান্তর। জাহানারা পারভীন/Jahanara Parvin সর্প, খোলস, ঘুড়ি... সীমানার কাছাকাছি উড়ছে ঘুড়ি, ছাদের খুব কাছ দিয়ে যেমন উড়ে যায় সমরিক প্লেন, উড়ে উড়ে একক আকাশে এক দুপুরে সুতো ছিঁড়ে পড়ে যায় কোনো এক মগডালে, হয়ে ওঠে কাগুজে লাশ। বেওয়ারিশ লাশের নমুনা, কাঙ্খিত নয় ডোমের কাছে, অথচ--মৃতদেহ চিরকাল পক্ষপাতহীন। যতোটা সময়ের পর নেমে যায় স্বজনের তাজা শোক, ততোটা দীর্ঘ নয় বিশ্বাসের আয়ু, সাপের সদ্যপাড়া ডিম একথা বিশ্বাস করেনি নবজাতক হয়ে জন্ম নেয়া প্রসবের প্রথম প্রহরে। সাপের খোলসে জমা বৃষ্টির পানি প্রজাপতিদের তৃষ্ণা মেটালে সেই পূণ্যে কেটে যায় সাপের বিষের অপরাধ, ভিনভাষী এই আঞ্চলিক মিথ পুনর্জন্মের তিল হয়ে জন্মেছে চোখের ললাটে। বহুবিধ ব্যবহারের সুযোগে কোনো বালকের ঘুড়ির লেজ হয়ে আকাশে উড়ে যায় একটি পরিত্যক্ত খোলস, প্রকৃত সাপের তখন মনে পড়ে সর্প ঘুড়ি ও খোলসের ইতিবৃত্ত . . . |